আদিয়ানের জন্ম হয়েছিল ভিক্টোরিয়ার জিলং শহরে ২০১৩ সালে। তাঁর বাবা মেহেদী হাসান ভূঁইয়া এবং মা রেবেকা সুলতানা ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন। আদনানের জন্মের সময় একটি স্ট্রোক হয়েছিল যার ফলে তার বাম হাতে হালকা অক্ষমতা দেখা দেয়। মিঃ মেহেদীর পিএইচডি সম্পন্ন হওয়ার পরে পরিবারটি স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করেছিল তবে ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার প্রটেকশন ডিপার্টমেন্ট আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে - কারণ অদিয়ানের মেডিক্যাল কন্ডিশন অস্ট্রেলিয়ার করদাতাদের ওপর আর্থিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছে। পরিবারটি প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করেছে, তবে ট্রাইব্যুনালের মেডিক্যাল এসেসমেন্টের বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তাদের শেষ প্রত্যাশা, ইমিগ্রেশন মন্ত্রী ডেভিড কোলম্যান এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন।
Adyan Bin Hasan Source: Supplied
মিঃ মেহেদী এসবিএস বাংলাকে বলেন, আদনানের শারীরিক ত্রুটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম। তার শুধু অন্য কোন সাধারণ শিশুর তুলনায় কিছুটা অতিরিক্ত তদারকির প্রয়োজন। তাঁর চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছেন, আদিয়ানের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ বেশ স্বাভাবিক এবং সে কারো সাহায্য ছাড়াই দৌড়াতে, লাফঝাঁপ করতে পছন্দ করে এবং অন্য সমবয়সী বাচ্চাদের মতোই খেলে। কিন্ডারগার্টেনে ওর শিক্ষকরা অন্যান্য বাচ্চাদের মতোই ওর সাথে ব্যবহার করে এবং ও তাদেরকে মাতিয়ে রাখে। ওর কেবলমাত্র ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন।
মিঃ মেহেদী চিন্তিত যে, যদি আদনানকে তার পরিবারসহ বাংলাদেশে চলে যেতে হয়, তবে তার বিকাশ সম্পর্কিত চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাবে কারণ বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী পরিচর্যা ব্যবস্থা খুব দুর্বল।
এই মেডিক্যাল কন্ডিশনের কারণে আদিয়ান বাংলাদেশে যে মারাত্মক সামাজিক বৈষম্যের মুখোমুখি হতে পারে তা নিয়েও পরিবারটি উদ্বিগ্ন। তাদের কাছে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে অদিয়ান অস্ট্রেলিয়ায় একটি সাধারণ শিশু হিসাবে তার বিকাশ অব্যাহত রেখেছে, এবং সে অস্ট্রেলিয়াকেই তার বাড়ি বলে জানে।
মিঃ মেহেদী বলেন, তিনি মানবিক কারণে তাদের ছেলের বিষয়টি বিবেচনার জন্য সর্বশেষ উপায় হিসাবে ইমিগ্রেশন মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন।
"এখন আমরা মাননীয় অভিবাসন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছি।"
বাংলায় কথোপকথন শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটি ক্লিক করুন।