তামিল শরণার্থী তানুশ সেলভারসা অস্ট্রেলিয়ায় বোটে করে আসেন। এরপর তাকে পাপুয়া নিউ গিনির মেনাস আইল্যান্ডের ইমিগ্রেশনের ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়। চিকিৎসা-গ্রহণের জন্য তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায়।
এসবিএস-কে তিনি বলেন, তিনি আর কখনই সেখানে যাবেন না।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অফশোর প্রসেসিং সেন্টারটি চালু হওয়ার আট বছর পর অস্ট্রেলিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনি সরকার একমত হয়েছে আগামী ডিসেম্বরে এটি বন্ধ করে দিতে।
এ বছরের জুলাই পর্যন্ত, পাপুয়া নিউ গিনিতে ১২৪ জন আশ্রয়প্রার্থী এবং নাউরুতে ১০৭ জন আটক ছিল।
কিন্তু, নাউরুর ক্ষেত্রে সরকারী নীতিমালায় পরিবর্তন হয় নি। সেখানকার প্রসেসিং সেন্টার অনির্দিষ্টকাল ধরে চালিয়ে যাওয়া যাবে। গত মাসে এ নিয়ে চুক্তি হয়েছে।
হোম অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার ক্যারেন অ্যান্ড্রুজ বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
তিনি বলেন, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত, ৮২০টিরও বেশি বোটে করে অস্ট্রেলিয়ায় ৫০,০০০ এরও বেশি লোক এসেছে এবং সাগরে অন্তত ১২০০ লোক মারা গেছে।
পাপুয়া নিউ গিনির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সরকারের রিজিওনাল প্রসেসিং চুক্তি ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ এ শেষ হবে। এটি আর নবায়ন করা হবে না।
১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে পি-এন-জি সরকার সেখানকার রিজিওনাল প্রসেসিং সার্ভিসগুলোর ব্যবস্থাপনার পুরো দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং সেখানে রয়ে যাওয়া বাকি সবার পূর্ণ দায়িত্ব নিবে।
ফেডারাল সরকার বলছে, যারা স্বেচ্ছায় নাউরুতে স্থানান্তরিত হতে চান, তাদের রিজিওনাল প্রসেসিং অ্যারেঞ্জমেন্টের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া সহায়তা করবে।
হাজার হাজার আশ্রয়প্রার্থীর আগমন ও সমুদ্রে বৃহু লোকের মৃত্যুর কারণে, ২০১৩ সালে পাপুয়া নিউ গিনির সঙ্গে একটি রিজিওনাল রিসেটলমেন্ট অ্যারেঞ্জমেন্ট এর ঘোষণা করেন লেবার প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড।
এসবিএস-কে দেওয়া একটি স্টেটমেন্টে তিনি বলেন, এক বছরের এই চুক্তিটি বছরের পর বছর নবায়ন করাটা উচিত হয় নি।
লেবার পার্টির হোম অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মুখপাত্রী ক্রিস্টিনা কেনেলি বলেন, অফশোর প্রসেসিং, রিজিওনাল রিসেটলমেন্ট এবং আশ্রয়াপ্রার্থীদেরকে ফেরত পাঠানোর বিষয়গুলো সমর্থন করে লেবার পার্টি। তবে, মরিসন সরকারের অব্যবস্থাপনার ফলে মানুষ অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষ্ঠুর আচরণের শিকার হচ্ছে।
পাপুয়া নিউ গিনিতে এখন মাত্র একশ’র কিছু বেশি সংখ্যক শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থী বাকি রয়ে গেছে।
১৫০ জনকে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। তবে, এখন পর্যন্ত যতদূর জানা গেছে, এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে অস্ট্রেলিয়া।
গ্রিনস পার্টির ইমিগ্রেশন বিষয়ক মুখপাত্র নিক ম্যাককিম বলেন, পুরো বিষয়টি লজ্জাজনক; তবে, নিউ জিল্যান্ডের প্রস্তাবটি ইতিবাচক।
২০১৪ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আর কোনো বোট আসে নি। তবে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গ্রাহাম থম বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নিয়মিত সমালোচনা রয়েছে।
আর, তানুশের মতো শরণার্থীদের জন্য, সামনে এখনও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।