২০২০ সালে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর সুযোগ কাজে লাগিয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছে স্ক্যামাররা।
গত বছর অস্ট্রেলিয়ানরা স্ক্যাম-এর শিকার হয়ে রেকর্ড পরিমাণ ৮৫১ মিলিয়ন ডলার হারায়।
অস্ট্রেলিয়ান কমপিটিশন অ্যান্ড কনজ্যুমার কমিশন বা এ-ট্রিপল-সি (ACCC) প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি চেয়ার ডেলিয়া রিকার্ড বলেছেন, প্রত্যেকের জন্যই স্ক্যামাররা ভিন্ন ভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নেয়।
এ-ট্রিপল-সি এর প্রতিবেদনে স্ক্যামওয়াচ, রিপোর্টসাইবার, অন্যান্য সরকারি সংস্থা, ১০ টি ব্যাংক এবং আর্থিক মধ্যস্থতাকারীদের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
এটি ৪৪৪,০০০ এরও বেশি প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
ডেলিয়া রিকার্ডের মতো বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন যে, ভুক্তভোগীদের প্রতারিত করার কৌশলগুলি ক্রমশ অত্যাধুনিক হয়ে উঠছে।
স্ক্যামের তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতারণার বিষয়টি। এই খাতে হারিয়েছে ৩২৮ মিলিয়ন ডলার, যা মোট ক্ষতির এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি।
তালিকায় এর পরেই রয়েছে রোমান্স স্ক্যাম। প্রণয়াকাঙ্ক্ষী ব্যক্তিরা হারিয়েছেন ১৩১ মিলিয়ন ডলার।
ইউনিভার্সিটি অফ এন-এস-ডব্লিউ ইনস্টিটিউট ফর সাইবার সিকিউরিটির পরিচালক, অধ্যাপক মনিকা হুইটি বলেন, নারীদের কেন রোম্যান্স জালিয়াতিতে বেশি আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে তার গবেষণায়।
পেমেন্ট রিডাইরেকশন জালিয়াতিতে বাকিরা প্রতারিত হয়েছিল, যার ফলে ১২৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছিল।
অধ্যাপক হুইটি বলেন, স্ক্যাম বা জালিয়াতির সংখ্যাও বাড়ছে।
এ-ট্রিপল-সি'র মিসেস রিকার্ড বলেন, যদিও বেশিরভাগ জালিয়াতি পরিচালিত হয় বিদেশ থেকে; তবে স্থানীয়ভাবেও কিছু জালিয়াতি পরিচালিত হয়েছে।
এক-একটি স্ক্যাম বা জালিয়াতিতে গড়ে ৭,৬০০ ডলারেও বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল।
মিসেস রিকার্ড অস্ট্রেলিয়ানদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন উৎস যাচাই না করে কাউকে ফোন বা ইমেলের মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী প্রদান না করেন।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে, স্ক্যামের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই তাদের কথা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন না। সেজন্য, সত্যিকারের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ এত্থেকে অনেক বেশি হতে পারে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
আরও দেখুন:
মেডিকেয়ার ইমেইল স্ক্যাম থেকে সতর্ক থাকুন