অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনের শুভেচ্ছাদূত বাংলাদেশের মঈন

Moin Rahman

Moin Rahman (R). Source: Supplied

উচ্চ শিক্ষার জন্য ব্রিসবেন শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান কেমন? শহরটাই বা কতটুকু বসবাস এবং কর্ম উপযোগী? অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চ শিক্ষায় ইচ্ছুক ভিনদেশী শিক্ষার্থীদের এমন সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য ব্রিসবেন শহরের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশী মঈন রহমান। বাংলায় পুরো রিপোর্ট শুনতে উপরের অডিও লিংকে ক্লিক করুন।


ব্রিসবেনের অর্থনীতিতে প্রতি বছর তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রাখেন বিদেশী শিক্ষার্থীরা। প্রতি বছর গড়ে ৮৫ হাজারের বেশী শিক্ষার্থী আসেন এ শহরে।

নবাগত এবং যারা আসতে ইচ্ছুক তাদের কাছে সঠিক বার্তা পৌছে দিতে ৪০ জন শিক্ষার্থীকে 'আন্তর্জাতিক ছাত্র বিষয়ক শুভেচ্ছাদূত' নির্বাচিত করেছে ব্রিসবেন শহরের সিটি কাউন্সিল। 

এরা সবাই ৩০টি দেশ থেকে ব্রিসবেনে উচ্চ শিক্ষা নিতে এসেছেন। এই দলে রয়েছেন বাংলাদেশের মঈন রহমান। উচ্চ শিক্ষার্থে ২০১৪ সালে ব্রিসবেন আসেন তিনি।
Ambassador
Source: Supplied
ব্রিসবেন শহরের শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে খুবই আনন্দিত মঈন রহমান। "শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করতে গিয়ে, নতুন নতুন মানুষের কাছে নিজেকে বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে অনেক ভালো লাগে," বলেছেন মঈন। 

"আমেরিকা- কানাডার মত অস্ট্রেলিয়া থেকেও উচ্চশিক্ষা নিতে পারে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা। এখানকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই বিশ্ব র‌্যাংকিং এ সামনের দিকে রয়েছে।"
মঈন রহমান
Source: Supplied
সিটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ক্রিস্টা অ্যাডামস জানান, "শুভেচ্ছাদূতদের কাজ খুব সহজ। তারা ব্রিসবেনের গোলগাল কোয়ালাদের সঙ্গে সময় কাটাবে, নদীতে অ্যাডভেঞ্চার করবে আর দারুণ সময় কাটাবে।"

আগামী ১২ মাসের জন্য ব্রিসবেন ঘুরে বেড়াবে ৪০ সদস্যের এই দলটি। ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি সবাইকে জানাবে ব্রিসবেন পড়াশোনার জন্য কতটা ভালো। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্রিসবেন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করবে শুভেচ্ছাদূতরা।

৪০ বিদেশি শিক্ষার্থীদের দলটায় ৩৬ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাকি চারজন পড়ছেন হাইস্কুলে। 

Share