গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো:
- জাপান আবারও হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সের শীর্ষ স্থান দখল করেছে। জাপানের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই ১৯৩টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারবে
- অস্ট্রেলিয়া রয়েছে অষ্টম স্থানে, এ দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া ১৮৫ টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারবে
- সারা বিশ্বে সর্বমোট ৪২টি গন্তব্যস্থল রয়েছে যেখানে অস্ট্রেলীয় পাসপোর্টধারীদের প্রবেশের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয়
কখনো কি ভেবে দেখেছেন কোন দেশের পাসপোর্টধারীদের সবচেয়ে বেশি দেশে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে?
অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়া রয়েছে এই তালিকার অষ্টম স্থানে। আর এদিকে জাপান টানা পঞ্চম বছরের জন্য শীর্ষ স্থানে রয়েছে। জাপানের নাগরিকরা ১৯৩টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ভিসা ছাড়াই যেতে পারে।
এই তালিকাটি সম্প্রতি লন্ডন-ভিত্তিক ইনভেস্টমেন্ট মাইগ্রেশন কনসালটেন্সি ফার্ম হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশ করেছে। এই সংস্থা আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের (আইএটিএ) তথ্য ব্যবহার করে ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট দিয়ে সর্বমোট ২২৭টি গন্তব্যে যাওয়ার ক্ষমতার তুলনা করে এই তালিকা প্রকাশ করেছে।
২০২৩ সালে সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার পাসপোর্ট বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শক্তিশালী পাসপোর্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর তারপরেই জার্মানি ও স্পেন সমানভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
Japan topped the latest Henley Passport Index. Source: SBS
The Henley Passport Index ranks the Afghan passport as the least powerful. Source: SBS
অস্ট্রেলীয়রা যে-সব দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবে
হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স অনুযায়ী সর্বমোট ১৮৫টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে হয় কোনো ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন, অথবা সেখানে পৌঁছে ভিসা বা ভিজিটর পারমিট অথবা একটি ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরিটি বা ইটিএ নিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন।
পর্তুগাল থেকে পোল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্য থেকে শুরু করে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন পর্যন্ত ঊনপঞ্চাশটি ইউরোপীয় দেশ কোনো ভিসা ছাড়াই অস্ট্রেলিয়ানদের সেসব দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়।
ওশেনিয়া অঞ্চলে এক ডজনেরও বেশি দেশ রয়েছে যারা অস্ট্রেলিয়ানদের ভিসা ছাড়াই ঢুকতে দেয়। এদের মধ্যে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, ফিজি এবং ফরাসি পলিনেশিয়া। বার্বাডোস, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ এবং জ্যামাইকাসহ ক্যারিবীয় অঞ্চলেও অনুরূপ সংখ্যক স্থানে অস্ট্রেলীয়রা ভিসা ছাড়াই যেতে পারে।
আমেরিকার ঊনিশটি জায়গায় অস্ট্রেলীয়দের প্রবেশের জন্য ভিসার প্রয়োজন হয় না, যেমন আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও মেক্সিকো। আর সেই সাথে বতসোয়ানা, মরোক্কো এবং তিউনিসিয়া সহ ১২টি আফ্রিকান দেশেও তাই।
অস্ট্রেলীয়রা ভিসা ছাড়া হংকং, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনসহ এশিয়ার ১০টি এবং ইসরায়েল ও কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশে যেতে পারে।
কম্বোডিয়া, মিশর, লেবানন, প্যারাগুয়ে এবং সামোয়াসহ বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশ রয়েছে যেখানে অস্ট্রেলিয়ানরা পৌঁছানোর পরে ভিসা বা ভিজিটরস পারমিট পেতে পারে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলিতে প্রবেশের জন্যে সেখানে পৌঁছে ইটিএ সংগ্রহ করতে পারে।
যেসব দেশের জন্য অস্ট্রেলীয়দের ভিসার প্রয়োজন হয়
এমন ৪২টি দেশ রয়েছে যেখানে অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্টধারীদের যাওয়ার আগেই ভিসা নিতে হয় অথবা সেখানে যাওয়ার পরে ভিসা পেতে আগে থেকেই অনুমোদন নিয়ে রাখার প্রয়োজন হয়।
এরকম দেশগুলোর অর্ধেকেরও বেশি রয়েছে আফ্রিকায়, যাদের মধ্যে রয়েছে ঘানা, কেনিয়া ও দক্ষিণ সুদানসহ আরও কিছু দেশ।
দুটি অঞ্চলে কেবলমাত্র একটি করে দেশ রয়েছে যাদের জন্য অস্ট্রেলিয়ান পর্যটকদের ভিসা প্রয়োজন হয় - ক্যারিবীয় অঞ্চলে রয়েছে কিউবা এবং ওশেনিয়ায় রয়েছে নাউরু। আর এশিয়াতে এরকম দেশ আছে ১০টি, যাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আফগানিস্তান, চীন এবং উত্তর কোরিয়া।
আজারবাইজান, রাশিয়া বা তুরস্কে যেতেও অস্ট্রেলীয়দের ভিসার প্রয়োজন হবে। যেমনটি হবে মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়া বা ইয়েমেন, এবং আমেরিকার চিলি বা সুরিনামের ক্ষেত্রে।
ভ্রমণের জন্যে অস্ট্রেলীয়দের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা
অস্ট্রেলিয়ান পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভ্রমণের গন্তব্য হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান অধিবাসীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া।
অস্ট্রেলিয়ানদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পছন্দের গন্তব্যে রয়েছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর প্রথম দশটি পছন্দের তালিকায় রয়েছে যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, ভারত, ফিজি, থাইল্যান্ড, ইতালি এবং ভিয়েতনাম।
এদের মধ্যে কেবল ভারত ও ভিয়েতনামে যাওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ানদের ভিসা নিশ্চিত করতে হয়।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: