ওয়ার্কিং হলিডে ভিসার উপযুক্ততার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার ঘোষণা করেছে মরিসন সরকার। এর অংশ হিসেবে বুশফায়ারের ফলে অংশ নিতে ব্যাকপ্যাকার্সদেরকে উৎসাহিত করা হবে।
বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতে নির্মার্ণ কাজে, যেমন, ক্লিয়ারিং, বাড়ি-ঘর ও বেড়ার পুনর্নির্মাণ এবং ডেমোলিশনের কাজ এখন থেকে সরকারের সংজ্ঞা অনুসারে স্পেসিফায়েড ওয়ার্ক-এর মধ্যে গণ্য হবে। ওয়ার্কিং হলিডেমেকার্স ভিসাধারীদেরকে এসব কাজ সম্পন্ন করতে হবে যদি তারা দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় বছরের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে চায়।
দ্বিতীয় বছর পর্যন্ত ওয়ার্কিং হলিডে ভিসার জন্য উপযুক্ত হতে হলে ব্যাকপ্যাকার্সদেরকে অবশ্যই নর্দার্ন কিংবা রিজিওনাল অস্ট্রেলিয়ায় নির্ধারিত এলাকায় তিন মাস কাজ করতে হবে। আর তৃতীয় বছরের জন্য তাদেরকে অবশ্যই অতিরিক্ত ছয় মাস রিজিওনাল ওয়ার্ক করার বিষয়টি প্রমাণ করতে হবে।এই পরিবর্তনগুলো সোমবার রিজিওনাল ভিক্টোরিয়ায় ঘোষণা করা হবে। এর ফলে ব্যাকপ্যাকার্সরা ডিজাস্টার জোন বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ-কবলিত এলাকাগুলোতে একই নিয়োগদাতার অধীনে ছয় মাসের পরিবর্তে এক বছর থাকতে পারবে।
Burnt-out bushland on the outskirts of Cobargo, NSW. Source: AAP
অ্যাক্টিং ইমিগ্রেশন মন্ত্রী অ্যালান টাজ বলেন,
“এসব কঠোর-পরিশ্রমী অস্ট্রেলিয়ানরা সম্প্রতি বুশফায়ারের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু, আজ থেকে তারা ব্যাকপ্যাকার্সদেরকে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দিতে পারবে এবং এই দুর্যোগের সময়ে ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে যা তাদের কাজে আসবে।”
“এর মানে হলো ওয়ার্কিং হলিডেমেকার্সরা ঘর-বাড়ি, বেড়া এবং ফার্ম পুনর্নির্মাণে সহায়তা করতে পারবে। তারা বিভিন্ন স্থাপনায় যেতে পারবে এবং ডেমোলিশন, ল্যান্ড ক্লিয়ারিং এবং বাধ, রাস্তা-ঘাট ও রেলওয়ে সংস্কারের কাজে অংশ নিতে পারবে।”
ট্যুরিজম মন্ত্রী সায়মন বার্মিংহ্যামও বলেন, এসব পরিবর্তনের অর্থ হলো আরও বেশি সংখ্যক লোক রুরাল টাউনগুলোতে বসবাস এবং কাজ করবে। পর্যটন-ব্যবসার এই মন্দার সময়েও তারা সেখানকার স্থানীয় ব্যবসাগুলোতে অর্থ ব্যয় করবে।
তিনি বলেন,
“প্রতিটি অতিরিক্ত ওয়ার্কিং হলিডেমেকার, যাদেরকে আমরা সে-সব কমিউনিটিতে পাঠাতে পারবো, তারা প্রত্যেকেই এক একজন অতিরিক্ত পর্যটক যারা স্থানীয় কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করবে এবং স্থানীয় ব্যবসাগুলোকে বাঁচিয়ে রাখবে।”
“আমরা জানি, অগ্নি-বিধ্বস্ত কমিউনিটিগুলোতে পর্যটন-ব্যবসার বিষয়টি কঠিন। এসব ওয়ার্কিং হলিডেমেকার্সরা যত বেশি পরিমাণ ট্যুরিজম-ডলার আনতে পারবে ততো দ্রুতই এসব অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারিত হবে এবং তারা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যাবে।”
জন্য আবেদন করতে হলে বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং উপযুক্ত দেশের নাগরিক হতে হবে।