'ক্লিক এগেইনস্ট হেইট' বা 'ঘৃনাকে না বলো' শীর্ষক ওই কর্মসূচী বিস্তারে সরকারের দেয়া তিন মিলিয়ন ডলার তহবিল পাওয়া যাচ্ছে।
এন্টি-ডিফেমেশন কমিশনের চালু করা ওই কর্মসূচীর লক্ষ্য ছিল বড় ক্লাসের প্রাইমারী এবং সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। এর মাধ্যমে তাদেরকে সাইবার বুলিং বা অনলাইন হয়রানি, বর্ণবাদ থেকে শুরু করে ইসলামভীতি, ইহুদিবিরোধিতা এবং সমকামবিরোধিতার মত অসহিষ্ণু আচরণ কিভাবে মোকাবেলা করা যায় সে বিষয়ে ধারণা দেয়।
এন্টি-ডিফেমেশন কমিশনের চেয়ারম্যান ইদ্ভির আব্রামোভিচ সরকারের দেয়া এই তহবিলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন এটা অস্ট্রেলিয়ার একটা সংকটময় সময়ে পাওয়া গেলো।
তিনি বলেন, "এন্টি-সেমিটিজম (ইহুদিবিরোধিতা), ইসলামোফোবিয়া (ইসলামভীতি) এবং অন্যান্য সকল ধরণের বর্ণবাদ যখন নজিরবিহীন স্তরে পৌঁছে তখন দৃঢ়তার সাথে এবং শক্তভাবে তার মোকাবেলা প্রয়োজন। "
ট্রেজারার যশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, অতিরিক্ত তহবিল বরাদ্দের ফলে কর্মসূচীটিকে অস্ট্রেলিয়া জুড়ে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে, এতে তরুণ শিক্ষার্থীরা বর্ণবাদ এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা মোকাবেলা করার শিক্ষা পাবে।
তিনি বলেন, "এর ফলে পাঁচশতেরও বেশি স্কুলে এই কর্মসূচীটি চালু করা যাবে, এবং সেখানে স্কুল শিক্ষার্থীরা শিখবে কি করে অসহিষ্ণুতা এবং ঘৃণা মোকাবেলা করা যায় এবং তাদেরকে সেভাবেই প্রস্তুত করা হবে।"
এই ঘোষণাটি মেলবোর্নের একটি মসজিদে করা হয়েছে। আন্তঃধর্মীয় কমিউনিটি সেন্টার গঠনের জন্য মসজিদটি সরকারের অনুদান পেয়েছে যেখানে থাকছে ক্লাসরুম, লাইব্রেরি এবং শরীরচর্চ্চা ঘর।
নিউপোর্টের ওই মসজিদের মুসল্লি ২৫ বছরের রাশিদ বলেন, এই তহবিল একটা ভালো বিনিয়োগ।
তিনি বলেন, "বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে দূরত্ব কমাতে এবং তাদের মধ্যে পরিচিতি ঘটাতে যা করণীয়, সে খাতে অর্থ ব্যয় করা হলে তার সুফল আসবে।"
আরো পড়ুনঃ