মেলার আয়োজন নিয়ে ক্রিয়েটিভ এন্টারটেইনমেন্টের প্রেসিডেন্ট তৌহিদ পাটোয়ারী এসবিএস বাংলাকে জানান, "বাংলাদেশের বাইরেও বিশ্বজুড়ে বৈশাখী উৎসব একটি মেগা ইভেন্ট। ইউরোপে ধুমধামের সহিত পালিত হয় বৈশাখী উৎসব। লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলাটি যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম লোকউৎসব। প্রায় আশি হাজার লোক সমাগম হয় সেই মেলাটিতে। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত মেলা গুলোর আকারও বেশ বড়। প্রায় ত্রিশ হাজার লোক সমাগম হয় সিডনির একটি মেলায়। বাঙালিদের একটি সর্বজনীন লোক উৎসব হিসাবে বিবেচিত এই উৎসবটি বিশ্বজুড়ে সকলের জন্য একটি আনন্দ উৎসব হিসেবে পরিচিত ও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মেলবোর্নের বৈশাখী আয়োজনে সেক্ষেত্রে একটি শুন্যতা ও অপুর্ণতা রয়ে গেছে। কমিউনিটির সেই প্রত্যাশিত চাহিদা পুরন করতেই এই মেলাটি অনুষ্ঠিত হবে ওয়েরেবি রেসকোর্স গ্রান্ড স্ট্যান্ড ও সংলগ্ন মাঠে।"ভেন্যু হিসেবে ওয়েরেবি রেসকোর্সকে কেন বেছে নিলেন, এ প্রসঙ্গে মিঃ তৌহিদ বলেন, "বৈশাখী নিয়ে আমাদের লং টার্ম ভিশনের সাথে সংগতিপুর্ন কিছু বিষয় রয়েছে। বৈশাখী মেলা আউটডোর ইভেন্ট। অডিটোরিয়ামের মধ্যে বৈশাখী মেজাজ ও আমেজ আসে না। অন্য দিকে এপ্রিলের আবহাওয়া আউটডোর ইভেন্টের জন্য ঝুঁকিপূর্ন। সেদিক থেকে ওয়েরেবি রেসকোর্সের গ্রান্ড স্ট্যান্ড ও স্টল ফেসিলিটিজে ছাউনি থাকায় দুই দিক থেকেই ঝুঁকিমুক্ত। ধারন ক্ষমতার দিক থেকেও অনন্য।অন্তত বিশ হাজার দর্শক ধারন করতে সক্ষম এই ভ্যেনুটি। এবারে আমাদের প্রত্যাশা অন্তত পাঁচ হাজার অংশগ্রহনকারী এই ইভেন্টে অংশ নেবেন। তবে ভবিষ্যতে আমাদের লক্ষ্য বিশ হাজার বা তারও বেশী অংশগ্রহনকারী। এখানে আছে প্রায় পনেরোশো'র পর্যাপ্ত ফ্রি পার্কিং। আছে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। ওয়েরেবি ট্রেন স্টেশন থেকে খানিকটা হাটা পথ।"
আয়োজকরা এর আগে বাংলাদেশী শিল্পীদের নিয়ে সফল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে Source: Creative Entertainment/ Facebook
বৈশাখী মেলা আয়োজনের প্রস্তুতির সাথে আরো যারা যুক্ত আছেন তারা হচ্ছেন ক্রিয়েটিভ এন্টারটেইনমেন্টের সেক্রেটারি যুখরুফ চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর নাফিজ এবং ট্রেজারার ফাইজুল ইসলাম।
আয়োজকদের মতে মেলবোর্নের পশ্চিমের শহরতলীর অনেকেই অন্যান্য বৈশাখী মেলার স্থান যেমন মেলবোর্ন সিটির পার্কিং ঝামেলা বা ডেনডিনং-এর লং ড্রাইভ করার ধকল এড়িয়ে চলেন।আয়োজকরা বলছেন তাদের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি প্রকাশ করতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। মেলবোর্নের বিভিন্ন বাংলাভাষী সংগঠনসহ বেশ কিছু সংগঠন মেলায় অংশগ্রহণ করতে বিপুল আগ্রহ দেখিয়েছে। মেলাটি মূলত বাঙালী সংস্কৃতির ঐতিহ্য অনুসারে সাজানো হলেও থাকবে মালটিকালচারাল আমেজ।
মেলায় আয়োজকদের বিপুল দর্শনার্থীদের আগমনের প্রত্যাশা Source: Creative Entertainment/ Facebook
মিঃ তৌহিদ জানান, "বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বেশ কিছু শিল্পীদের মেলায় অংশগ্রহণের সম্ভাবনা আছে। সেই সাথে থাকবে স্হানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহনে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। থাকবে ফুড স্টল, ফ্যাশন স্টলসহ রকমারি মেলা। ছোট বড় সবার জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্নিভাল রাইড। ছোটদের জন্য ফেস পেইন্টিং, বেলুন টুইস্টার থেকে আরো নানান আনন্দের আয়োজন। থাকবে কালচারাল প্যারেড বা শোভাযাত্রা, ফ্যাশন শো, ফায়ার ওয়ার্কস। একটি পরিপুর্ন বিনোদন আয়োজন। আশা করছি ইন্টার স্টেট ও দূরের সাবার্ব গুলো থেকে অংশগ্রহনকারিরা এবারের ইস্টারের ছুটি ওয়েরেবিতে কাটাবে। মেলার পাশাপাশি উপভোগ করবে বিখ্যাত ওয়েরেবি জু ও আশেপাশের অনান্য উপভোগ্য টুরিস্ট আকর্শনগুলো।"
আয়োজকরা জানান দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে সিটি কাউন্সিলসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
আরো পড়ুন: