বাংলাদেশের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সমমান ইয়ার টুয়েল্ভ পরীক্ষা। পার্থক্য হচ্ছে, এখানে স্কুল থেকেই ইয়ার টুয়েল্ভ পরীক্ষা শেষ করা হয়, আলাদা কলেজের প্রয়োজন পড়ে না।
শনিবার, এডিলেইডের ব্রাইটন পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে 'সৌরভের ফুল- গৌরবের সুবাস' নামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পিদিম পাঠাগার।সংবর্ধনা পাওয়া সাতজন শিক্ষার্থী হচ্ছেন, অম্লান চৌধুরী, আনিছা আব্দুল্লাহ, ফারাহ ইউনুস, লাবিবা রশ্নি, রুহ সাফা পৌষী, পরিধী কর্মকার এবং শ্রাবণী সাহা।
Source: Supplied
কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন এডিলেইডে বসবাসরত সাতজন প্রবীণ বাংলাদেশী মা।
৯৯.৯০ শতাংশ নাম্বার পাওয়া অম্লান বলেন, "খুবই ভালো আয়োজন। আগামীতে আরো ভালো করার দায়িত্ব বেড়ে যায়।"
এ বছর যারা পরীক্ষা দিবে তাদের জন্য অম্লানের পরামর্শ হচ্ছে, "নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। একদিন নয় বরং প্রতিদিন একটু একটু করে পড়ার অভ্যাস রাখতে হবে।"
"অনেক সুন্দর সম্মাননা ছিল," বলেছেন আনিছা আব্দুল্লাহ। "আমি এখন মনোবিজ্ঞান এবং ব্যবসা নিয়ে পড়ছি।"
কৃতি শিক্ষার্থী লাবিবা রশ্নি বলেন, "অনেক ভালো লাগছে কমিউনিটি থেকে স্বীকৃতি পেয়ে।"
"আমি এখন মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়ছি। শিশু ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে আমার।"
পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আগামীতেও এ ধরণের আয়োজন অব্যাহত রাখার কথা বললেন, পিদিমের প্রতিষ্ঠাতা এ এফ এম এনায়েতউল্লাহ।
"এরা আমাদের নতুন যৌবনের দূত। আগামীতে তারাই ভিনদেশী সংস্কৃতিতে আমাদের সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাবে," বলেছেন এনায়েতউল্লাহ।সংবর্ধনা উপলক্ষে বইমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। নাচে বাংলাদেশের ষড় ঋতুর বৈচিত্র্য তুলে ধরেন শিল্পীরা। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের লোকজ সঙ্গীতকে প্রাধাণ্য দিয়ে গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশ এবং ভারতের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা।
Source: Supplied
অনুষ্ঠানের শুরুতে বইমেলা উদ্বোধন করেন ক্ষুদে শিক্ষার্থী জিসান।