করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে এ বছরের ফেডারাল বাজেট দেরিতে ঘোষণা করা হচ্ছে। এদিকে দ্য ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন অর্থ-বছরের প্রথম চার মাসের জন্য, অর্থাৎ, ১ জুলাই থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত, তারা সমস্ত রাজ্যগুলোর জন্য ‘ইনটেরিম প্লেসেস’ বা অন্তর্বর্তীকালীন স্থান বরাদ্দ করবে।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন অভিবাসনের জন্য সবচেয়ে বেশি সুযোগ রাখা হয়েছে।
হাইলাইটস
- অস্ট্রেলিয়ার সবগুলো রাজ্যের জন্য সব মিলিয়ে ৫,১৬৯ টি ইনটেরিম প্লেস বরাদ্দ করেছে ফেডারাল সরকার।
- ১ জুলাই থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত এই বরাদ্দ।
- স্কিল মাইগ্রেশন ভিসার জন্য সাউথ অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ (৯০০ প্লেস) পেয়েছে।
ফ্রিডম অফ ইনফরমেশন এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত দেখা যায়:
সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্টেট/টেরিটোরি স্কিলড নমিনেটেড ভিসা (সাবক্লাস ১৯০) এর জন্য (২,৪৩০ টি)। স্কিলড ওয়ার্ক রিজিওনাল (প্রভিশনাল) ভিসা, সাবক্লাস ৪৯১ এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১,৭১৫ টি প্লেস আর বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টর প্রোগ্রামের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১,০২৪ টি স্থান।
ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, স্কিলড মাইগ্রেশন ভিসা সাবক্লাস ১৯০ এবং সাবক্লাস ৪৯১ এর জন্য সাউথ অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বেশি ভিসা প্লেসের বরাদ্দ পেয়েছে (৯০০)। আর, এই দুটি সাবক্লাসের ক্ষেত্রে নর্দার্ন টেরিটোরি বরাদ্দ পেয়েছে প্রতিটির জন্য ৮০ টি করে মোট ১৬০ টি।
ভিক্টোরিয়া বরাদ্দ পেয়েছে সর্বমোট ৮০০ টি প্লেস। সাবক্লাস ১৯০ তে ৬০০ টি এবং সাবক্লাস ৪৯১ এ ২০০ টি।
নিউ সাউথ ওয়েলসে সর্বমোট ৭০০ টি প্লেস বরাদ্দ করা হয়েছে। সাবক্লাস ১৯০ এর জন্য ৫৫০ টি এবং সাবক্লাস ৪৯১ এর জন্য ১৫০ টি।
ট্যাসমানিয়ায় সর্বমোট ৬৫০ টি প্লেস বরাদ্দ করা হয়েছে। সাবক্লাস ৪৯১ এর জন্য ৪০০ টি এবং সাবক্লাস ১৯০ এর জন্য ২৫০ টি।রেজিস্টার্ড মাইগ্রেশন এজেন্ট কাউসার খান বলেন,
Source: Department of Home Affairs
“কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এখন যে চাহিদা তৈরি হয়েছে সেজন্য এখন যারা প্রস্তুত, তাদের জন্য আসলেই সুবিধা হবে।”
তিনি আরও বলেন, এসব ভিসা-প্রত্যাশী যারা অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন তারা সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন।
“যারা অফশোরে আছেন তাদের চেয়ে যারা অনশোরে আছেন তাদের জন্য এটা বেশি সুবিধাজনক হবে।”
“এর আগে নিউ সাউথ ওয়েলস রিজিওনালে গত জুনের আগে এ রকম সুযোগ এসেছিল”, বলেন তিনি।
তিনি আশা করেন যে,
“এ ধরনের সুযোগ ভবিষ্যতে আরও আসার সম্ভাবনা রয়েছে।”
বাংলাদেশী যারা এ ভিসাগুলোর প্রতি আগ্রহী, তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন,
“বাংলাদেশী যারা অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন করতে চান, তারা এ বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ রাখুন।”