বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ ঘোষনা দেন। একই সঙ্গে বনদস্যুদের আত্মসমপর্নের সহযোগীতায় জড়িত সবাইকে প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানিয়েছেন বলেও জানায় বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল যমুনা টেলিভিশন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বনদস্যুদের মোটিভেট করেছি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার আশ্বাসে তারা আত্মসমর্পন করে। বনদস্যুদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য এক লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হচ্ছে। দস্যুরা এখন আত্মসমর্পন করে পরিবার- পরিজন, আত্মীয়স্বজনের সাথে মিলেমিশে বাস করছে।
সকালে বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে বনদস্যু বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন। এ সময় বাগেরহাটে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও কয়েকজন মন্ত্রী-এমপিসহ র্যাবের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক মোহসীন-উল হাকিমের মধ্যস্থতায় ২০১৬ এর ৩১মে থেকে ২৬ দস্যুবাহিনী আত্মসর্মপন করেছে। আজ শেষ ৬টি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও পাঁচ হাজার রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়ে ৯ সহযোগীসহ ‘মাস্টার বাহিনীর’ প্রধান মোস্তফা শেখ ওরফে কাদের মাস্টার আত্মসমর্পণ করার পর পর্যায়ক্রমে মানজার বাহিনী প্রধান মানজার সরদার, মজিদ বাহিনী প্রধান তাকবির বাগচী মজিদ, বড় ভাই বাহিনী প্রধান আবদুল ওয়াহেদ মোল্লা, ভাই ভাই বাহিনী প্রধান মো. ফারুক মোড়ল, সুমন বাহিনী প্রধান জামাল শরিফ সুমন, দাদা ভাই বাহিনী প্রধান রাজন, হান্নান বাহিনী প্রধান হান্নান, আমির বাহিনী প্রধান আমির আলী, মুন্না বাহিনী প্রধান মুন্না, ছোট শামছু বাহিনী প্রধান শামছুর রহমান, মানজু বাহিনী প্রধান মো: মানজু সরদার ও সূর্য্য বাহিনী প্রধান সূর্য্যসহ ২৯টি বনদস্যু বাহিনীর ২৭৪ সদস্য ৪০৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৯ হাজার ১৫৩ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে।
আত্মসমর্পন করতে প্রস্তুত দস্যুবাহিনীর সাথে মোহসীন-উল হাকিম। ফাইল ছবি। Source: Supplied