সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় অর্থনীতি চাঙা করার জন্য তিন বছর মেয়াদী একটি ভিসা চালু হয়েছে আজ ২১ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার থেকে। এটি চলবে ২০২১ সালের নভেম্বরের শেষ নাগাদ।
বলা হয়েছে, এই ভিসা প্রোগ্রামের জন্য প্রথম বছরে ৩০টি ভিসার কোটা রাখা হয়েছে। এরপর এই সংখ্যা প্রতিবছর বাড়ানো হবে।
এ বছরের মার্চে এই ভিসার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। বেশিরভাগ বিজনেস ও ইনোভেশন ভিসার ক্ষেত্রে মুলধনের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে এ রকম কোনো মুলধনের প্রয়োজন হবে না।
(টেম্পোরারি অ্যাক্টিভিটি) ভিসার অধীনে ভিসা-আবেদনকারী ও তার পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় তিন বছর পর্যন্ত থাকতে পারবে।
আবেদনকারীর বয়স ৪৫ বছরের কম হতে হবে। এছাড়া, সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় ইনোভেটিভ বিজনেস পরিচালনার জন্য একটি বিজনেস প্লান থাকতে হবে এবং সেটা সাউথ অস্ট্রেলিয়া রাজ্য সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। আবেদনকারীর বিজনেস প্লানের মূল্যায়ণ করবে স্টেট কিংবা ফেডারাল সরকার। যারা সফলভাবে এখানে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন তারা পরবর্তীতে এখানে স্থায়ী অভিবাসনও করতে পারবেন।
যারা ভিসা পাবেন তাদের ব্যবসায়ীক কর্মকাণ্ডের প্রতি লক্ষ রাখবে রাজ্য সরকার। তাদের বিজনেস প্লানের সঙ্গে যদি তাদের কর্মকাণ্ডের মিল না থাকে তাহলে তাদের ভিসা বাতিল হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
বিদ্যমান বিজনেস ও ইনোভেশন ভিসাগুলোর চেয়ে এই ভিসাটি ভিন্ন। এই ভিসায় বাধ্যতামূলকভাবে কোনো অর্থায়নের কথা বলা হচ্ছে না। অন্যান্য বেশিরভাগ বিজনেস ভিসাতেই কমপক্ষে দুই লাখ (দু’শ হাজার) ডলার মুলধনের দরকার হয়।
আর, এই ভিসার জন্য ইংরেজিতেও খুব বেশি দক্ষতা চাওয়া হয় নি। আইইএলটিস এর সবগুলো ব্যান্ডে কমপক্ষে ৫ স্কোর থাকতে হবে।
আশা করা হচ্ছে এই ভিসার ফলে সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার স্টিভেন মার্শাল বলেন,
“আমরা নিশ্চিত যে, এই ব্যবস্থার ফলে আবেদনকারীরা একসময়ে এখানে স্থায়ী অভিবাসন করবেন। তাদের ব্যবসার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এখানে নতুন নতুন কোম্পানি তৈরি হবে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।”
সাউথ অস্ট্রেলিয়া রাজ্য সরকার এই প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য রাজ্যের বাজেটে চার লাখ (চারশ’ হাজার) ডলার বরাদ্দ করেছে।