কোভিড-১৯ এ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরকে ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে এক মাসের জন্য গ্রোসারি ও ঈদের আগে উপহার প্যাকেটে প্রদান করা- এ রকম বেশ কিছু কাজ করেছে এবং এখনও করে যাচ্ছে মেলবোর্ন বিডি কমিউনিটি কানেক্টেডনেস ইন ক্রাইসিস সিচুয়েশন ফেসবুক গ্রুপটি।
এর অন্যতম আয়োজক মামুন বদরুদ্দোজা পলাশ বলেন,
“কোভিড-১৯ লকডাউন শুরু হওয়ার আগেই আমরা বাংলাদেশী কমিউনিটির কয়েকজন অনুভব করছিলাম যে, আর্থিক, মানসিক এবং অন্যান্য বিপদাপদে কমিউনিটির লোকদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। সেজন্যই আমরা এ রকম একটি উদ্যোগ গ্রহণ করি।”
“শুরু থেকেই আমাদের সঙ্গে এই উদ্যোগে ছিলেন খন্দকার সাইদুল ইসলাম রিপন, মেহেদি হাসান ও জহিরুল ইসলাম।”এদের সদস্যরা ফেসবুক অনলাইন ও জুমের মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজনও করে। এগুলোতে স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য, অনলাইন এডুকেশন, অনলাইন কোরআন শিক্ষা, সেল্ফ-আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনে যারা আছেন তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা এ রকম নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
Source: Mamun Bodruddoza Polash
মামুন বদরুদ্দোজা পলাশ এ প্রসঙ্গে বলেন,
“যেহেতু লকডাউনের সময়ে আমরা অতি প্রয়োজনীয় দরকার ছাড়া বের হতে পারছিলাম না, তাই সেই সময়টিতে যেন আমরা পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারি, সেজন্য অনলাইন বৈঠকগুলোর উদ্যোগ গ্রহণ করি।”
এই অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেন মেলবোর্ন ও বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। যেমন, সিটিজেন অফ ইয়ার এবং অর্ডার অফ অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড পাওয়া বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক কামরুল হোসেইন চৌধুরী ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং বাংলাদেশ থেকে মানসিক-স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ।
লকডাউনের কারণে যেহেতু কোনো পাবলিক ইভেন্টের আয়োজন করার অনুমতি ছিল না, তাই ঈদের আগে ঈদ-মেলা বা ঈদ-শপিং এর কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এ রকম অবস্থায় এই গ্রুপের উদ্যোগে আয়োজিত “অনলাইন বুটিক এক্সপো” ভালভাবে সাড়া জাগায় কমিউনিটিতে।
শিশুদের জন্য করা হয় ঈদ কার্ড একজিবিশন এবং অনলাইন ঈদ গ্রিটিংস। এতে প্রায় ৫০টি পরিবার অংশ নেয়।
এ ছাড়া, বড় পরিসরে দু’টি প্রোগ্রাম করা হয় জুম ও ফেসবুক লাইভ-এ। এগুলো হলো অনলাইন বৈশাখী আয়োজন ও অনলাইন ঈদ আয়োজন।
অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসের প্রকোপ দৃশ্যত কমে যেতে দেখা গেলেও এটি এখনও পুরোপুরি শেষ হয়ে যায় নি। এ প্রসঙ্গে মামুন বদরুদ্দোজা পলাশ বলেন,
“পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের এসব সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি।”