গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
- ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই থেকে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস।
- বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। সেই থেকে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস।
- উন্নত দেশগুলোর মাঝে অস্ট্রেলিয়াই সর্বপ্রথম বাংলাদেশের স্বীকৃতি দেয়, ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি।
স্থানীয় সরকারের সহায়তায় অস্ট্রেলিয়ায় এই প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোকসজ্জা করা হলো। ব্র্রিসবেনের স্টোরি ব্রিজ এবং ভিক্টোরিয়া ব্রিজে ২২ মার্চ রাতে লাল-সবুজ রঙে আলোকিত করা হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই আলোকসজ্জার উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিসবেন (ব্যাব) ইনক।
সংগঠনটির সভাপতি মুনির রহমান বলেন,
“বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কুইন্সল্যান্ডে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিসবেন ইনক মাস ব্যাপী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গত ২২ মার্চ সোমবার ব্রিসবেনের দুটি আইকনিক ব্রিজ, স্টোরি ব্রিজ এবং ভিক্টোরিয়া ব্রিজে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রং-এ আলোকিত করা হয়। আমাদের জানা মতে, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের উদ্যোগ এটাই প্রথম।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ। আলোকসজ্জার জন্য এই দিনটির ব্যবস্থা করা সম্ভব না হওয়ায় অবশেষে ২২ মার্চে এই আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করে ব্রিসবেন সিটি কাউন্সিল।
মুনির রহমান আরও বলেন,
“এই আয়োজনের পেছনে ভূমিকা রেখেছেন ব্যাব-এর কার্যপরিষদ এবং মূল ধারণা ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছেন ড. যীশু দাশ গুপ্ত।”ব্যাব-এর সদস্য জ্যোতিষ দাশ জয় বলেন,
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ। আলোকসজ্জার জন্য এই দিনটির ব্যবস্থা করা সম্ভব না হওয়ায় অবশেষে ২২ মার্চে এই আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করে ব্রিসবেন সিটি কাউন্সিল। Source: Jutis Das Joy
“বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের পঞ্চাশ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ব্রিসেবেনের দু’টি ব্রিজে আলোকসজ্জার ঘটনায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এর জন্য আমি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিসবেন ও ব্রিসবেন সিটি কাউন্সিলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”
ব্যাব-এর সদস্য ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন,
“মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রাক্কালে প্রতিটি বাঙালি প্রাণ গৌরবের মহিমায় উদ্বেলিত। আজ সেই অতল গৌরবের অমিয় ধারা যেন শতগুণে মহিমান্বিত হয়ে প্রস্ফুটিত হলো ব্রিসবেনের দুই ঐতিহাসিক নিদর্শন ভিক্টোরিয়া এবং স্টোরি ব্রিজে, স্রোতস্বিনী ব্রিসবেন নদীতে ফুটে উঠলো প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি! এ এক স্বর্গীয় অনুভূতি, অবিস্মরণীয় মুহূর্ত! স্বপ্নকে সত্যি করার এই অভূতপূর্ব আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা।”
ব্যাব-এর সদস্য নন্দিতা বসু বলেন,
“একজন বাংলাদেশী হিসেবে আজ আমি ভীষণ গর্বিত। স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনের এই সময়ে, ব্রিসবেনের ঐতিহাসিক স্থাপনা 'স্টোরী ব্রিজ' এবং 'ভিক্টোরিয়া ব্রিজ' আলোকিত হয়েছে আমার দেশের পতাকার রং লাল সবুজ আলোয়, যার প্রতিবিম্ব তৈরি হয়েছে ব্রিসবেন নদীর জলে। এ এক অবর্ননীয় আনন্দের মুহূর্ত।”
এর অন্যতম উদ্যোক্তা ড. যীশু দাশ গুপ্তের (জেডি) এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন,
“আমি ধন্যবাদ জানাই জেডি ভাইকে, যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল আজকের এই ঐতিহাসিক অর্জন। আরও ধন্যবাদ জানাই ব্যাবের সকল সদস্যকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে আরও স্মরণীয় করে রাখতে লাল সবুজে আলোকিত 'স্টোরি ব্রিজের' সামনে সম্মিলিত কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাইতে পারার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।”
ব্যাব এর সদস্য মোবাশ্বের আলম বলেন,
“It was a very proud moment as a Bangladeshi to see the national flag’s colour on two iconic bridges of Brisbane.”