নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে আগামী তিন বছরে অস্ট্রেলিয়ায় আবাসন খাতে চাহিদা ভয়াবহভাবে কমে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের প্রতি তাই আহ্বান জানানো হয়েছে হোম-বিল্ডার প্রোগ্রাম বর্ধিত করার জন্য।
একটি নতুন অভিবাসন পরিকল্পনা প্রণয়ন করার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্রপার্টি কাউন্সিল।
২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মাঝে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ২১৪,০০০ এ নেমে যেতে পারে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯৭১ সালের বেবি বুমের সময় ছাড়া এ রকম অবস্থা ইতোপূর্বে দেখা যায় নি।
অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা বৃদ্ধির শতকরা ৬০ ভাগ ঘটে বিদেশ থেকে অভিবাসনের মাধ্যমে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করায় এখন এই অভিবাসন হচ্ছে না। তাই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এর ফলে আবাসনের চাহিদা কমে গিয়ে ১২৯,০০০ থেকে ২৩২,০০০ বাসস্থান এর মধ্যে থাকবে।
ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশনও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিষয়ে। ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলো থেকে আসা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এখন ভ্রমণ করতে পারছে না।
এই কর্পোরেশনটির চিফ একজিকিউটিভ নেইথন ডেল বন বলেন,
“এই গবেষণাটিতে তুলে ধরা হয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নেট ওভারসিজ মাইগ্রেশন এবং আবাসনের চাহিদার মধ্যকার সম্পর্ক। কোভিড-১৯ এর কারণে জন-সংখ্যা বৃদ্ধি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”
বৈশ্বিক আর্থিক সঙ্কট থেকে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে অস্ট্রেলিয়াকে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক চলকগুলো, যেমন, বেকারত্বের হার এবং এক্সচেঞ্জ রেট গুরুত্বপূর্ণ।
রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে,
“বৈশ্বিক আর্থিক সঙ্কটের পর শিক্ষার্থী-সংখ্যার ঘাটতি পূরণ করে এই সঙ্কটের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে প্রায় চার বছর সময় লেগেছে।”
বিগত দুটি অর্থনৈতিক মন্দার সময়েও দেখা গেছে, বেকারত্ব বৃদ্ধির ফলে জন-সংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধি হ্রাস পায়।
প্রপার্টি কাউন্সিলের চিফ একজিকিউটিভ কেন মরিসন বলেন, এই প্রতিবেদনটিতে যে চিত্র অঙ্কিত হয়েছে, তা ঘটতে দেওয়া যায় না।
“আমরা যদি এটা করি, এর অর্থ দাঁড়াবে, আরও হাজার হাজার অস্ট্রেলিয়ান তাদের কাজ হারাবে।”
“আমাদের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম পুনরায় চালু করার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরির বিষয়টিকে ন্যাশনাল কেবিনেটে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।”
সরকারের প্রতি আরও ৬ মাসের জন্য, ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত, নতুন ঘর-বাড়ি তৈরির জন্য হোম-বিল্ডার স্টিমুলাস প্রোগ্রাম বর্ধিত করার দাবি জানান তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার জনগণকে অবশ্যই পরস্পরের মাঝে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। জন-সমাগমের সীমা সম্পর্কে জানতে আপনার রাজ্যের নিষেধাজ্ঞাগুলো দেখুন।
আপনার মাঝে যদি সর্দি-কাশির (কোল্ড কিংবা ফ্লু) লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে ঘরে অবস্থান করুন এবং আপনার ডাক্তারকে কল করে কিংবা করোনাভাইরাস হেলথ ইনফরমেশন হটলাইন, 1800 020 080 নম্বরে কল করে টেস্টের ব্যবস্থা করুন।
আপনার যদি শ্বাস-কষ্ট কিংবা মেডিকেল ইমার্জেন্সি দেখা দেয়, তাহলে 000 নম্বরে কল করুন।
বাংলায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ক আমাদের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ভিজিট করুন: