অস্ট্রেলিয়ার হোম অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি ঘোষণা করেছেন যে, এখন বৈশ্বিক ‘যুদ্ধের দামামা’ বাজছে এবং আঞ্চলিক সংঘাতের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে অবশ্যই প্রস্তুত হতে হবে।
মাইক পেজুল্লো বলেন, অস্ট্রেলিয়া অবশ্যই শান্তির প্রচেষ্টা চালাবে, তবে তার নিজের স্বাধীনতার বিনিময়ে নয়।
অ্যানজাক ডে-এর বাণীতে তিনি তার ডিপার্টমেন্টের কর্মীদেরকে বলেন,
“অন্তহীন উত্তেজনা, চাপ ও ভয়-ভীতিপূর্ণ এই বিশ্বে যুদ্ধের দামামা বাজে, কখনও হালকাভাবে ও দূর থেকে বাজে, কখনও বা অধিকতর জোরালোভাবে ও অত্যন্ত নিকটে বাজে।”
“আজ, মুক্ত জাতিগুলো আবারও দামামার শব্দ শুনতে পায় এবং উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করে আমাদের বিভিন্ন ইস্যুর রূপায়ন। সাম্প্রতিক বছরগুলো পর্যন্ত তারা ভাবে, এগুলো যুদ্ধের নিয়ামক নয়।”
“চলুন আমরা অবিশ্রান্তভাবে শান্তির সুযোগের সন্ধান করতে থাকি; যখন আমরা আবারও আঁকড়ে ধরছি, আবারও, যুদ্ধের অভিশাপকে।”
সম্প্রতি তাইওয়ানের বিষয়ে চীনের অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ডিফেন্স মিনিস্টার পিটার ডাটন। চীনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক যখন ক্রমশ ভঙ্গুর রূপ ধারণ করছে, তখন মাইক পেজুল্লো এই মন্তব্য করলেন।
হোম অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার ক্যারেন অ্যান্ড্রুজ নিশ্চিত করেন যে, তিনি এই “খুবই শক্তিশালী” বক্তৃতাটি আগাম পড়েছেন।
মঙ্গলবার তিনি চ্যানেল নাইনকে বলেন,
“সরকারের এই অত্যন্ত গুরুত্ববহ বাণীটি হলো, আমাদেরকে সতর্ক হতে হবে, তবে আতঙ্কিত নয়।”
“একটি সরকার হিসেবে আমরা অবশ্যই খুবই সচেতন যে, বিশেষত, প্যাসিফিক অঞ্চলে কী ঘটছে; এবং আমরা অবশ্যই সর্বদা অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিব।”
“উত্তপ্ত ভাষা”
লেবার দলের ফ্রন্টবেঞ্চার বিল শর্টেন বলেন, মিস্টার পেজুল্লোর ভাষা ছিল উত্তেজনাময়। নাইন নিউজকে তিনি বলেন,
“আমাদেরকে অবশ্যই আমাদের বাণিজ্যের জন্য, অধিকার রক্ষার জন্য, উঠে দাঁড়াতে হবে। তবে, ‘যুদ্ধের দামামা’র মতো ভাষা, আমার মনে হয়, অতি উত্তেজনাময় ভাষা।”
“আমি নিশ্চিত নই যে, আমাদের সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তারা এ ধরনের ভাষার ব্যবহার করতে পারেন কিনা। কারণ, আমি জানি না যে, এটা কি আদৌ কোনো উপকারে আসবে কিনা। বরং, এটা শুধু অধিকতর উদ্বেগেরই সৃষ্টি করবে।”
ব্যাপক আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে, মিস্টার পেজুল্লো ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্সের পরবর্তী সেক্রেটারি হতে যাচ্ছেন।
অ্যানজাক ডে-তে তার বাণীতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ANZUS জোটের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়।