গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
- এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসের ২০২১ সালের আসরে 'রেহানা' ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী বাঁধন, গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ পেয়েছেন নির্মাতা সাদ
- চলচ্চিত্রটি সফল হয়েছে কারণ এর নির্মাণের ভাষা সুনির্দিষ্ট, ছবিতে একজন মহিলার ন্যায়বিচারের জন্য লড়াইয়ের মানসিক এবং বাস্তবিক ধাপগুলো ডিটেলে দেখানো হয়েছে
- এর আগে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের খ্যাতনামা নির্মাতা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী তার 'টেলিভিশন' ছবির জন্য একই অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গোল্ড কোস্ট শহরে অ্যাপসার ২০২১ সালের ১৪তম আসরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে গতকাল ১১ নভেম্বর।
উৎসবের ১৪তম আসরে বাংলাদেশের 'রেহানা' সিনেমাটির নির্মাতা আবদুল্লাহ মোহম্মদ সাদ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার ছবি ‘দ্য ড্রোভারস ওয়াইফ: দ্য লেজেন্ড অব মলি জনসন’ সিনেমার নির্মাতা লিয়া পুরসেল গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ পাচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ার ইন্ডিজিনাস কমিউনিটির গোয়া-গুঙ্গারি-ওয়াকা ওয়াকা মুরি নারী লিয়া পুরসেলের এটি প্রথম ছবি।
উৎসবটিতে সেরা সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে জাপানি নির্মাতা হামাগুসির ‘ড্রাইভ মাই কার’।
‘রেহানা মারিয়াম নূর’ ছবিটি সম্পর্কে অ্যাপসা থেকে বলা হয়েছে "এই চলচ্চিত্রটি সফল হয়েছে কারণ এর নির্মাণের ভাষা সুনির্দিষ্ট, ছবিতে একজন মহিলার ন্যায়বিচারের জন্য লড়াইয়ের মানসিক এবং বাস্তবিক ধাপগুলো বিশদভাবে বর্ণনা করা এবং একটি অসাধারণ সমাপ্তিতে প্রকাশ করা সম্ভব করেছে, এখানে দেখা যায় সে কিভাবে তার ছোট মেয়েকে সাহসী হতে এবং সকল প্রকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত করছে।"
‘রেহানা মারিয়াম নূর’ ছবির নির্মাতা বলেন,“আমরা রোমাঞ্চিত, আমরা অভিভূত। আমি অবশ্যই বলব যে, আমাদের দলের সদস্যদের নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলে ছবিটি করা সম্ভব হয়েছে। আমি আমার ছবির শিল্পী এবং কলাকুশলীদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি নিশ্চিত যে তাদের ত্যাগ এবং প্রতিশ্রুতির জন্য এই পুরস্কারে তাদেরও ভাগ আছে, তাই সমস্ত কৃতিত্ব তাদেরই দেয়া যায়।”
'বেস্ট পারফরম্যান্স বাই এন এক্ট্রেস' পুরস্কার জয়ী বলেন, "আমি ছবিটি উৎসর্গ করেছি আমার দেশে এবং সারা বিশ্বে যারা তাদের স্বাধীনতা, অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং প্রতি মুহূর্তে যারা হতাশায় হারিয়ে যায়।"
এবার সেরা অভিনেত্রী শাখায় মনোনয়ন পান ইসরায়েল, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ পাঁচ দেশের অভিনেত্রী যাদের মধ্যে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন মিজ বাঁধন।
উল্লেখ্য যে ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের ‘আনসার্টেন রিগার্ড’ বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলো ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমাটি। এরপর থেকেই বাংলাদেশ ও বিশ্বের সামাজিক ও গণমাধ্যমে ছবিটি নিয়ে বিপুল আলোচনা শুরু হয়।
এটি দ্বিতীয় কোন বাংলাদেশি ছবি যেটি অ্যাপসা গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ পেলো। এর আগে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের খ্যাতনামা নির্মাতা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী তার 'টেলিভিশন' ছবির জন্য একই অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন।
এছাড়া গতবছর বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নুরুল রাশেদ চৌধুরী নির্মিত 'চন্দ্রাবতী কথা' এশিয়া-প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসের প্রতিযোগিতা বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলো।
এশিয়ার ২৫টি দেশ এশিয়া-প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসের আয়োজনে অংশ নেয়। এ বছর চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছিল ৩৮টি সিনেমা। এ বছর ১১টি দেশের ১০টি সিনেমাকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড অঞ্চলে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ ছবিটির এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর পথ প্রডাকশন্স ও দেশী ইভেন্টস। সংগঠনগুলোর সূত্রে জানা যায় ছবিটি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন থিয়েটারে দেখানো হবে। এদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি শুক্রবার ১২ নভেম্বর থেকে মুক্তি পাচ্ছে।
শুনুন প্রতি সোমবার এবং শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এবং আরও খবরের জন্য আমাদের ভিজিট করুন।
আরো দেখুন: