অ্যাকাউন্টিং নিয়ে পড়াশোনা করতে বাংলাদেশ থেকে ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন রাকেশ ফ্রান্সিস রোজারিও। কিন্তু দিক বদল করে এখন তিনি প্রফেশনাল শেফ হিসেবে কাজ করছেন। এখন আছেন সিডনির নভোটেল-ব্রাইটন-লেসেন্ট হোটেলে।
২০১৮ এবং ২০১৯ এ হোটেল ম্যানেজমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের জন্য ফাইনালিস্ট হয়েছেন রাকেশ। অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও ফিজির ১৫ শরও বেশি হোটেলের প্রতিনিধিত্ব করে এই অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামটি। ২০১৯ সালে টুরিজম অফ অস্ট্রেলিয়া অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড-এর ফাইনালিস্টও হয়েছেন তিনি। হোটেল ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে এটিই সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস অ্যাওয়ার্ড।
বাংলাদেশে তার বাবা শেফ হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি ঢাকার শেরাটন হোটেলের একজিকিউটিভ শেফ ছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনার সময়ে রাকেশ একটি রেস্টুরেন্টে কিচেন-হ্যান্ড হিসেবে খণ্ডকালীন কাজ করেন। সপ্তাহে বিশ ঘণ্টা। এরপর, কমার্শিয়াল কুকারি কোর্স সম্পন্ন করেন।
শেফ হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন,
“যখন আপনি কোনো কিছু কুক করবেন এবং সেই খাবার যখন আপনি পরিবেশন করবেন, যখন আপনি দেখবেন যে, গেস্ট বা যে-কেউ, তারা খুব এনজয় করছেন, That satisfaction is more like I can’t explain.”
“মানুষ যখন খেতে আসে, শুধু খাওয়ার জন্যই আসে না কিন্তু। We try to make an event. হয়তো কারও বার্থডে, কারও অ্যানিভার্সারি, যে-কোনো একটা উৎসবের জন্য।” কাজের সময়ে এ বিষয়গুলো মাথায় রাখেন রাকেশ।
ভাল রান্না করার ক্ষেত্রে রান্না করা উপভোগ করার প্রতি জোর দেন তিনি।
সাফল্যের পেছনের কারণগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে রাকেশ বলেন,
“প্রথমত, হার্ড ওয়ার্কিং,” এর পর তিনি জোর দেন বেসিকস-এর উপর।
তার মতে, শেফ হতে হলে ‘প্রাথমিকভাবে মাইন্ডসেট’ করতে হবে। কারণ, শেফের জীবন ভিন্ন রকম।
রাকেশ ফ্রান্সিস রোজারিওর সাক্ষাৎকারটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।