চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস ইনডিজেনাস জুম্ম অ্যাসোসিয়েশন অব অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সিডনি ও অ্যাডেলেইডে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এছাড়া, ধারাবাহিক এই বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ অক্টোবর মেলবোর্নে এবং ৯ অক্টোবর ক্যানবেরায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হওয়ার কথা রয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ‘আদিবাসী জুম্ম’ প্রতিনিধিবৃন্দ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন যে, স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত মানবাধিকার লংঘনের ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত, বিচার ও দোষীদের শাস্তি না হওয়ার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলছে বিচারহীনতার এক ধারাবাহিক সংস্কৃতি।
এই সংগঠনটির পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে আরও বলা হয়,
“আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে পর্যবেক্ষণ করছি যে, দেশে একটি জন-আকাঙ্ক্ষার সরকার থাকা সত্ত্বেও ঘৃণা-বিদ্বেষের প্রচার-প্রসার থামছে না। অনলাইনে গুজব ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে আদিবাসীদের উপর হামলার পাঁয়তারা দেখেও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।”
“দেশে জাতিগত বিদ্বেষ-বিভাজন দূর করতে রাষ্ট্রকেই উদ্যোগ নিতে হবে।”
“আমরা আশা করি বর্তমান সরকার জন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করতে আদিবাসীদের দাবীসমূহ আমলে নেবে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, জনবৈচিত্র্যময়, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে পাহাড়িদের উত্থাপিত দাবীসমূহ আমলে নেবে।”
সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে চোর সন্দেহে পিটুনিতে এক বাঙালি যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
চলতি অক্টোবর মাসে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় ভ্রমণ না করার জন্য পর্যটকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
অন্যদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান অশান্ত পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে এবছর পার্বত্য চট্টগ্রামে (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবরদান উদযাপন না করার ঘোষণা দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্মিলিত ভিক্ষু সংঘ।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে ‘উপজাতি’ হিসেবে কিংবা ‘ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী’ হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়ে তাদের আপত্তি রয়েছে। তারা নিজেদেরকে ‘আদিবাসী’ হিসেবে দাবি করে থাকেন, যা নিয়ে আবার অনেকের আপত্তি রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
এসবিএস বাংলা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেলের অংশ।
এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে। এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন .
আর, এসবিএস বাংলার এবং ইউটিউবেও পাবেন। ইউটিউবে সাবসক্রাইব করুন চ্যানেল। উপভোগ করুন দক্ষিণ এশীয় ১০টি ভাষায় নানা অনুষ্ঠান। আরও রয়েছে ইংরেজি ভাষায় ।