১৬৩টি দেশকে নিয়ে করা ২০১৮-এ দক্ষিণ এশিয়ার অবস্থা সার্বিকভাবে খারাপ হলেও উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। উন্নতি হয়েছে নেপাল (১১ ধাপ, ৬১তম) এবং শ্রীলঙ্কারও (১৯ ধাপ, ৭৭তম)।
তবে অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের নিকটতম দুই প্রতিবেশী দেশের। এক ধাপ এগিয়ে ভারতের অবস্থান অষ্টম থেকে সপ্তম এবং মিয়ানমারের ১৩ ধাপ (৩৭তম থেকে ২৪তম) অবনমন ঘটেছে। সূচকে অপরিবর্তিত আছে পাকিস্তান (৫ম) ও আফগানিস্তানের (২য়) অবস্থান।
বৈশ্বিক সূচকে উন্নতি করেছে অস্ট্রেলিয়া। এক বছরের মধ্যে তিন ধাপ পিছিয়ে ৬৫তম স্থান থেকে অস্ট্রেলিয়া দাঁড়িয়েছে ৬৮তম অবস্থানে।
তবে অবনমন ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের (৩২তম থেকে ২০তম)। সূচকে শূন্য পয়েন্ট নিয়ে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ব্রাজিল, সিঙ্গাপুর এবং কিউবাসহ ২৬টি দেশ।ইন্সটিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের (আইইপি) তৈরি করা বৈশ্বিক সন্ত্রাস সূচকে ৫ দশমিক ৬৯৭ স্কোর লাভ করে ২৫তম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ৯ দশমিক ৭৪৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় এক নম্বরে আছে ইরাক, অর্থাৎ বিশ্বে সবচেয়ে সন্ত্রাসপ্রবণ হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি।
বৈশ্বিক সন্ত্রাস সূচকে বাংলাদেশের ৪ ধাপ উন্নতি। Source: vision of humanity
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইপির সদর দফতর অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ গত বছর ৬ দশমিক ১৮১ পয়েন্ট পেয়ে ২১তম অবস্থানে ছিল।
২০১৬ সালে ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান ক্যাফেতে জঙ্গিরা হত্যা করে ২৮ জনকে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের বড় সন্ত্রাসী ঘটনা হিসেবে এটিকে উল্লেখ করা হয়েছে আইইপির প্রতিবেদনে। এতে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বৈশ্বিক বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশে সহিংস চরমপন্থা দমনের পদক্ষেপগুলোর কথা বলা হয়েছে।
“বৈশ্বিক বিনিয়োগ কিভাবে জাতীয় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে পারে তার একটি কারণ হচ্ছে, সহিংস উগ্রপন্থার উৎস আন্তঃদেশীয়, এমনকি তা স্থানীয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও।"
“গ্লোবাল কম্যুনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ফান্ড থেকে বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল শিক্ষায় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, যাতে তাদের মধ্যে বিষয়গুলো নিয়ে ভিন্ন ভাবনা তৈরি হয় এবং অনলাইনে ভুয়া খবর ও বার্তা ছড়ানোয় লাগাম টানছে।”
পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তার ওপর জোড় দিয়েছে আইইপি। এক্ষেত্রে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফটে ঢুকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৭ সালে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে মারাত্মক তিনটি সন্ত্রাসী সংগঠন ছিল আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা), নিউ পিপলস আর্মি ও আবু সায়াফ গ্রুপ বলে জানিয়েছে আইইপি।
সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসে আক্রান্ত ১০ দেশের মধ্যে আছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ভারত। এ কারণে জিটিআই স্কোরে দক্ষিণ এশিয়ার অবনতি হয়েছে।