ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য, পর্যটন ও বিনিয়োগ মন্ত্রী ড্যান তেহান ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, দুই দেশ খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই চুক্তিতে পৌঁছেছে, যা পারস্পরিক আস্থার প্রমাণ। এই চুক্তি বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনকে নির্ভরযোগ্য করতে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতিশীলতায় সহায়ক হবে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতায় স্থিতিশীলতা কোয়াড গ্রুপের নেতাদের মধ্যে আলোচনার একটি প্রধান বিষয়। এই চুক্তিটি শিক্ষা, ব্যবসা, পর্যটন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রসারিত হবে এবং এটি একটি বিশাল সুযোগের দ্বারা পরিচালিত একটি চুক্তি।
এর আগে, বঙ্গোপসাগরের যোগাযোগ, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা মজবুত করার সময় এসেছে, এমনই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কলম্বোয় পঞ্চম বিমসটেক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, বিমসটেক সচিবালয়কে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার দেবে ভারত। সংস্থার অপারেশানাল বাজেট বৃদ্ধির জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। বিমসটেক সচিবালয়ের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই অর্থ দেবে ভারত। এখন সময় এসেছে বঙ্গোপসাগরের মাধ্যমে যোগাযোগ, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা মজবুত করার। ১৯৯৭ সালে তারা একসঙ্গে যে লক্ষ্যে পৌঁছেছিলেন, এই মুহূর্তে সব বিমসটেক দেশগুলিকে নতুন উদ্যমে কাজ করে সেই লক্ষ্যে পৌঁছুতে হবে।
READ MORE
ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্কের অগ্রগতি
ইওরোপের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী আন্তর্জাতিক আইন-শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়টি বৃহত্তর অগ্রাধিকারে পরিণত হয়েছে। নালন্দা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃক প্রদত্ত বিমসটেক স্কলারশিপ প্রোগ্রামের পরিধি প্রসারিত করার জন্য ভাবনা চিন্তা করছে ভারত। তারা ফৌজদারি বিষয়ে পারস্পরিক আইনি সহায়তার জন্য একটি চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেছেন।
অন্যদিকে, বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে কলম্বো গিয়ে শ্রীলঙ্কাকে কম সুদে ১০০ কোটি ডলার, প্রায় ৭,৬০০ কোটি টাকা, ঋণ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তারই সাহায্যে আপাতত শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি সঙ্কট কিছুটা সামাল দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বিদেশী মুদ্রার সঞ্চয় তলানিতে ঠেকায় দু’টি জাহাজে করে বাইরে থেকে তেল এলেও, ডলারের অভাবে তা হাতে নেওয়া যাচ্ছে না বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী উদয় গমনপিলা। জ্বালানি সঙ্কটের কারণে রাজধানী কলম্বো-সহ দেশটির বিভিন্ন অংশে পেট্রোল পাম্পগুলিতে পড়ছে দীর্ঘ লাইন। সরবরাহ বাড়ন্ত হওয়ায় অশান্তির ঘটনাও ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে রান্নার গ্যাসের অভাবেও বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভের জেরে অশান্তি ঘটেছে। সেই সমস্যার সমাধানে প্রতিবেশী শ্রীলংকার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: