মাত্র চার মাস আগে যে-সংখ্যক অভিবাসী আনার কথা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়ে আরও ৮১,৯০০ জন বেশি সংখ্যক অভিবাসীকে আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থ-বছরে স্বাগত জানাবে অস্ট্রেলিয়া।
বিগত দু’টি অর্থ-বছরে প্রায় ৫ লাখ লোক অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে যায়। এবারের ফেডারাল বাজেটে দেখা যাচ্ছে, সরকার আশা করছে আগামী অর্থ-বছরে বহির্গমনকারীদেরকে বাদ দিয়ে, ৪১,০০০ লোক অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন করবে।
গত ডিসেম্বরের পপুলেশন স্টেটমেন্টে সরকার আশা করছিল যে, অস্ট্রেলিয়ায় আগমনকারী ও বহির্গমনকারীদের হিসেব অনুসারে ৪০,৯০০ লোকের নিট লস হবে। এর তুলনায় এটা অনেক বেশি।
এই অর্থ-বছরে সরকার আশা করছে অস্ট্রেলিয়ায় আগমনকারী ও বহির্গমনকারীদের হিসাব অনুসারে, এক্ষেত্রে নিট লস হবে ৮৯,৯০০ জন। তা সত্ত্বেও, সরকার আশা করছে, ২০২৩-২৪ অর্থ-বছরে এই সংখ্যা বেড়ে নিট গেইন হবে ১৮০,০০০ জন।
তবে, আশা করবেন না যে, সরকার স্কিলড মাইগ্রেশন ক্যাপ বা সীমা বৃদ্ধি করবে। বর্তমান সীমা ১৬০,০০০ এ না পৌঁছানো পর্যন্ত তারা এটা করবে না।
অস্ট্রেলিয়ায় আগমনকারীদের সংখ্যা ভয়ানকভাবে কমে গেছে। এই ধারা বজায় থাকবে। আর এর প্রভাব পড়বে বহু খাতে, যেমন, স্বাস্থ্য, ডিজিটাল স্কিলস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দক্ষ কর্মীর তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
কোভিড-পূর্ববর্তী অবস্থায় পৌঁছানোর আশা ২০২৪-২৫ সালের আগে করা যাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক পর্যটক এবং ব্যাকপ্যাকারদের আগমন বাড়াতে এবারের বাজেটে ২০২১-২২ অর্থ বছর থেকে আগামী তিন বছরের জন্য “টার্গেটেড মার্কেটিং ইনিশিয়েটিভস” হিসেবে ৬৩ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অভিবাসন
সরকার বলছে ১৬০,০০০ লোকের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের প্রতি অগ্রাধিকার দিবে তারা। দক্ষ অভিবাসী ভিসাগুলোর প্রতি নজর দেওয়া হবে।
স্কিল স্কিম বৃদ্ধি করে ১০৯,৯০০ করা হবে, যা ২০২১-২২ অর্থ-বছরের পরিকল্পনার চেয়েও ৩০,০০০ বেশি। এগুলোর মধ্যে ১০,০০০ স্থানান্তর করা হয়েছে পার্টনার ভিসা ক্যাটাগরি থেকে।
বাদবাকি ৫০,০০০ ভিসা প্লেস যাবে ফ্যামিলি স্ট্রিমে। এই সংখ্যা ২০২০-২১ অর্থ-বছরের ফ্যামিলি স্ট্রিমের জন্য প্রদানকৃত প্লেসের চেয়ে ২৭,০০০ কম।
২০২২-২৩ অর্থ-বছর থেকে, পার্টনার ভিসা প্রক্রিয়াকরণ করা হবে একটি ‘ডিমান্ড ড্রাইভেন মডেল’ অনুসারে।
রিজিওনাল এলাকাগুলোতে জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য রিজিওনাল ভিসা দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে ২৫,০০০ প্লেস করা হবে।
বিজনেস ইনোভেশন অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট (৯,৫০০ প্লেস), গ্লোবাল ট্যালেন্ট (৮,৪৪৮ প্লেস) এবং ডিসটিঙ্গুইশ ট্যালেন্ট (৩০০ প্লেস) ক্যাটাগরিগুলো “এটা নিশ্চিত করবে যে, বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট ব্যক্তিদের এবং ব্যবসা-উদ্যোগগুলোর কাছে অস্ট্রেলিয়া আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল হিসেবে নিজেকে ধরে রাখতে পারবে” বলে বাজেটে বলা হয়েছে।
ন্যাশনাল স্কিলস কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে, অকুপেশন লিস্ট বা পেশা-তালিকা পর্যালোচনা ও আপডেট করা হবে ২০২২-২৩ অর্থ-বছরের শুরুর দিকে, যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার শ্রম-বাজারের পরিবর্তনগুলো প্রতিফলিত হবে।
ব্যাকপ্যাকার্সদের সংখ্যা বৃদ্ধি
করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীর শুরুর দিকে ব্যাকপ্যাকার্সদেরকে ঘরে ফিরে যেতে বলেছিলেন স্কট মরিসন। অস্ট্রেলিয়ার কর্মী-ঘাটতি পূরণে এখন তিনি তাদেরকে ফিরে আসতে বলছেন।
৪৫টি দেশের সঙ্গে সরকারের ওয়ার্কিং হলিডে মেকার (WHM) অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে। এক্ষেত্রে বার্ষিক ক্যাপ বা সীমা রয়েছে ২৬টি পার্টনার দেশের সঙ্গে।
ওয়ার্কিং হলিডে মেকার সংখ্যা এককালীন ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে সরকার। এটি করা হবে ২০২২-২৩ অর্থ-বছরে। এর ফলে “অস্ট্রেলিয়ান রিটেইল, হসপিটালিটি, ট্যুরিজম এবং হোটেল পরিচালনাকারীরা উপকৃত হবে”।
বাজেট পেপার্স বলছে, “আগামী তিন বছরে এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি করবে ৪৫ মিলিয়নের উপরে”।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: