সিডনি সিবিডির ডিপার্টমেন্ট অফ ইমিগ্রেশন অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন অফিসের বাইরে শত শত প্রতিবাদকারী জড়ো হয় গতকাল সোমবার। তাদের দাবি, আশ্রয়প্রার্থীদেরকে উপর কুপ্রভাব ফেলে এ রকম নীতিমালা খতিয়ে দেখতে হবে।
প্রতিবাদকারীদের একাশং ছিল টেম্পোরারি ভিসা হোল্ডাররা। পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি লাভের প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য ভিসা প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে ফেডারাল সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় তারা।
সমর্থকরা বলেন, কয়েক বছর পর পুনরায় আবেদনে বাধ্য করা হচ্ছে টেম্পোরারি প্রটেকশন ভিসা (টিপিভি) এবং সেফ হ্যাভেন এন্টারপ্রাইজ ভিসাধারীদেরকে। বিদ্যমান প্রক্রিয়ার ফলে পরিবারগুলো বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।রুসুলের স্বামী একজন সত্যিকারের শরণার্থী। বর্তমানে তিনি সেফ হ্যাভেন এন্টারপ্রাইজ ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। তবে, ভবিষ্যতে তার ডিপোর্টেশন বা বহিষ্কার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এটা ঘটলে তার পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
Rusul fears her husband will be forced to return to Iraq when his SHEV expires. Source: Alice Trenoweth-Creswell/SBS News
তিনি বলেন,
“আমরা সেটলড নই, আমরা জানি না ভবিষ্যতে কী ঘটতে যাচ্ছে। আমরা জানি না, আমাদেরকে অন্য কোনো দেশে যেতে হবে কিনা। এখন আমাদের একটি সন্তান আছে, তাই আমরা তো (ইরাকে) ফিরে যেতে পারি না… সে যদি পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি না পায়, এর সম্ভাব্য অর্থ হচ্ছে একটি পারিবারিক বিচ্ছেদ।”
“আমরা এখানে দীর্ঘদিন ধরে আছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করেছি। আমি ফিরে যাওয়ার কথা এবং ইরাকে বসবাসের কথা ভাবতে পারি না, (যেখানে) আপনি বাজারে গেলে ফিরে আসতে পারবেন কিনা জানেন না। আমি আশা করি ন্যায় বিচার করা হবে।”
বর্তমান যে নীতিমালার কারণে ভিসাধারীরা তাদের পরিবারকে অস্ট্রেলিয়ায় আনতে পারে না, সে নীতিমালা নিয়ে হোম অ্যাফেয়ার্স অফিস আবারও চিন্তা-ভাবনা করুক- শরণার্থী গোষ্ঠীগুলোও এটা চায়।র্যালিতে কম-বয়সীদের মধ্যে ছিলেন মুর্তাজা আল-জুবাইদি। তার ভাইয়ের কাছ থেকে প্রায় এক দশক আগে তিনি বিচ্ছিন্ন হয়েছেন।
Murtadha Alzubaidy says Australia's asylum policies send the wrong message to the world. Source: Alice Trenoweth-Creswell/SBS News
তিনি বলেন,
“আমরা আমাদের পরিবারকে দীর্ঘ দিন ধরে দেখি নি… আট বছর, নয় বছর, দশ বছর। (অপেক্ষার জন্য) এটি অনেক লম্বা সময়। গত দশ বছরে আমি আমার ছোট ভাইকে দেখি নি। সে যদি অস্ট্রেলিয়ায় আসে, আমি আমাদের সম্পর্ক নিয়ে চিন্তিত। সেই সম্পর্ক আর ভাই-ভাই সম্পর্ক থাকবে না। আমার বাবা যখন এটা শোনেন তখন তার কান্নার আওয়াজ আমি শুনতে পাই।”