ভারতীয় অভিবাসী কর্ণবির সিং রান্না করতে ভালবাসেন। এটাকে তিনি তার পেশা হিসেবেও বেঁছে নিয়েছেন। ২০০৭ সালে তিনি হসপিটালিটি বিষয়ে পড়াশোনা করতে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন।
গোল্ডকোস্টে একটি ভারতীয় রেস্টুরেন্টে শেফের কাজ পান তিনি।
মিস্টার সিংয়ের মালিক তাকে অস্ট্রেলিয়ার পার্মানেন্ট ভিসার জন্য এম্প্লয়ার নমিনেশন স্কিমে স্পন্সর করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু, এর পরে তিনি কর্ণবিরকে বিনা পয়সায় কাজ করতে বলেন।
The Fair Work Ombudsman বলেন, গত অর্থবছরে দুই হাজারেরও বেশি ভিসাধারীকে সাহায্য করা হয়েছে তাদের কর্মক্ষেত্রের বিবাদ নিয়ে। তারা যতো বিবাদ মীমাংসার কাজ করেন সেগুলোর শতকরা ২০ ভাগ এগুলো।
ভিসাধারীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেসগুলোতে বিভিন্ন ওয়ার্কপ্লেসকে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছে এবং দুই মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনাদায়ী বেতন আদায় করা হয়েছে।
চলে যাওয়ার আগে মিস্টার সিং আট মাস বিনাবেতনে কাজ করেছেন। এরপর তিনি ওমবাডসম্যানের কাছে অভিযোগ দাখিল করেন এবং ২৫ হাজার ডলারেরও বেশি অনাদায়ী বেতন আদায় করার অনুরোধ করেন।
একটি ইউনিয়ন সংস্থা, Victorian Trades Hall Council এর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কারিনা গারল্যান্ড বলেন, তার কেসের মতো এ রকম কেস খুবই বিরল নয়।
তিনি বলেন, অভিবাসীরা প্রায়শই সাহায্য চায় না তাদের ভিসা হারানোর ভয়ে। তার মতে, যে কোনো স্থান থেকে শোষণ করার সুযোগ গ্রহণ করা হতে পারে।
মিস্টার সিং বলেন, নিজের দেশের কারও হাতে শোষিত হওয়ার কথা চিন্তা করতে পারেন নি তিনি।
মিস্টার সিংয়ের চাকুরিদাতা তার ভিসা ক্যান্সেল করে দিয়েছে। তিনি কোর্টে আপিল করেছেন এবং এখন ব্রিজিং ভিসায় আছেন।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।