চাঁদ দেখার সাপেক্ষে রোযার শুরু এবং শেষ নিয়ে ভিন্নতা থাকায় গত ৪ এবং ৫ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্থানে উদযাপিত হলো ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর।
গত ৫ জুন বুধবার সিডনি ও মেলবোর্নসহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
অস্ট্রেলিয়ার মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।ঈদের বড় জামাতগুলোর মধ্যে রয়েছে সিডনির লাকেম্বার দারুল উলুম, লাকেম্বার কেন্দ্রীয় মসজিদ, লাকেম্বার রেলওয়ে প্যারেড, প্যারি পার্ক কমিউনিটি সেন্টার, রকডেল এবং মিন্টো মসজিদ। এছাড়া অন্যান্য স্থানেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
Source: Supplied
সিডনির বাংলাভাষী অধ্যুষিত এলাকা লাকেম্বার বড় মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায়। এছাড়া, প্রবাসী বাংলাদেশী, পাকিস্তানী ও ভারতীয় মুসলমানরা লাকেম্বার প্যারি পার্কেও ঈদের জামাতে যোগ দেন। লাকেম্বার হ্যাল্ডন স্ট্রিটের আল সু্ন্নাহ মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে আটটায়।
লাকেম্বায় কয়েকটি ঈদের জামাতে মুসল্লিদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন লেবার পার্টির নেতা টনি বার্ক এমপি।
ক্যাম্পবেলটাউন-মিন্টোর আল-ফয়সাল কলেজে জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে সাতটায়, ইঙ্গেলবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি হলে জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে আটটায় এবং গ্লেনফিল্ড কমিউনিটি হলে জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল নয়টায়। রকডেল মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে সাতটায়। এছাড়া, রুটিহিল মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল আটটায় এবং প্যারামাটা মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে সাতটায়।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়া উপেক্ষা করে ছোট-বড় সবাই ঈদের নামাজে যোগদান করে।
মেলবোর্নের বিভিন্ন স্থানে গত ৫ জুন বুধবার ঈদ উদযাপিত হয়। মেলবোর্নের ওয়েস্টার্ন সাবার্বে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে সাতটায় সেখানকার ট্রুগানিনায় আত-ত্বাকওয়া মসজিদে। এছাড়া, ফকনার মসজিদ, হানটিংডেল, ওয়েরবি ঈগল স্টেডিয়াম, হপারস ক্রসিং, পয়েন্ট কুক, এপিং, ডেনডিনং, হালাম এবং প্রেস্টনেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।সিডনির মতো মেলবোর্নেও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ছিল। মেলবোর্নের বাংলাভাষী মুসলমান জুবায়দুল জ্যাকব বলেন, সৌহার্দপূর্ণ এবং শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন এথনিক সম্প্রদায়ের মুসলমানরা সেখানে একত্রে ঈদ উদযাপন করেছে।
Al Taqwa mosque Melbourne. Source: Jubaidul Jekab
তিনি আরও বলেন, “অতীতে দেখেছি বেশ কয়েকটি গ্রুপ হয়ে যায় চাঁদ দেখার বিভিন্ন ব্যাখ্যা নিয়ে। এবার সবাই একসাথে ঈদ উদযাপন করায় মসজিদে অনেক ভিড় ছিল, উপস্থিতি ছিল আগের তুলনায় অনেক বেশি।”৫ জুন বুধবার অ্যাডিলেইডে ঈদ উদযাপিত হয়। আল খলীল মসজিদ, এলিজাবেথ মসজিদ, হলিউড প্লাজা মসজিদ, ম্যারিয়ন মসজিদ এবং ওয়ানডানা মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল আটটায়। বনিথন পার্কে জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে আটটায় এবং অ্যাডিলেইড সিটি মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল নয়টায়।
Source: Jubaidul Jekab
ব্রিসবেনেও ৫ তারিখ বুধবার ঈদ উল ফিতর উদযাপিত হয়।