বাংলাদেশ সময় দুপুরে প্রাথমিকভাবে উখিয়ার ২২ নং জামতলী ও টেকনাফের ১৫ নং উনচিপ্রাং ক্যাম্প থেকে ৩০টি পরিবারের ১৫০ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।
এসব রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ ক্যাম্প থেকে প্রথমে উখিয়ায় কুতুপালং এলাকার ট্রানজিট কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে। তারপর ট্রানজিট কেন্দ্র থেকে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে স্থলপথে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রোহিঙ্গাদের রাখতে ইতিমধ্যে ট্রানজিট কেন্দ্রে ৫৭টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের কমিশনার আবুল কালাম জানিয়েছেন, "রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে টেকনাফের উনচিপ্রাং ক্যাম্পে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫ টি বাস, ও ৩টি ট্রাক। মিয়ানমারের সাড়া পেলে যে কোন সময় প্রত্যাবাসন শুরু করা হবে।"
Source: AP
নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যাবাসনের আগে পরিবারগুলোকে ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হয়। তবে প্রথম ব্যাচের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে বলে, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এ প্রত্যাবাসন নিয়ে এরমধ্যে আপত্তি জানিয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা। যার ফলে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে কক্সবাজারের উখিয়ার জামতলী ও টেকনাফের উনচিপ্রাং আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ৪৮৫টি পরিবারের ২ হাজার ২৬০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। প্রতিদিন ১৫০ জন করে ১৫ দিনে প্রথম ধাপের এই প্রত্যাবাসন শেষ হবে।