কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়াটা ভীতিকর এবং মানসিক চাপমূলক একটি অভিজ্ঞতা।
লন্ডনের থমাস ব্রাউনি এতে হাল্কাভাবে আক্রান্ত হন। দ্য সান নিউজপেপারকে তিনি বলেন, তার পার্টনারও এতে আক্রান্ত হয় এবং ভয়ানকভাবে পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে।
অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি লোক এতে আক্রান্ত হয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় এটি ছড়িয়ে পড়ার হার কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও, ধারণা করা হচ্ছে যে, এই বৈশ্বিক মহামারী নিয়ন্ত্রণে আসার আগ পর্যন্ত বহু অস্ট্রেলিয়ান এতে আক্রান্ত হবেন।
যারা এতে আক্রান্ত হবেন, তাদের জানা থাকা দরকার যে, এটি শনাক্ত হওয়ার পর কী করণীয়। অস্ট্রেলিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ব্রাঞ্চের প্রেসিডেন্ট, ডাক্তার ক্রিস ময় একজন জেনালে প্র্যাকটিশনার।
তিনি বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রথম করণীয় হচ্ছে, ঘরে থাকতে হবে। আর, তার সঙ্গে বাকি যারা বাস করেন, তাদেরকেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
Proven contact দেরকে খুঁজে বের করার প্রক্রিয়ার নাম contact tracing.
ডাক্তার ময় বলেন, কোভিড-১৯ এর কন্টাক্ট কেস হিসেবে যাদেরকে খুঁজে বের করা হবে, তাদেরকে যার যার অবস্থা অনুসারে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ডাক্তার ময় বলেন, যারা সেল্ফ-আইসোলেশনে রয়েছেন, তাদেরকে নিজের অবস্থার প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে। অবস্থা খারাপ হলে আরও চিকিৎসা-সহায়তা নিতে হবে।
তবে, অসুস্থ হওয়া সবারই হাসপাতালে যাওয়া উচিত হবে না।ডাক্তার ময় সতর্ক করে বলেন, যে-সব লোকেরা গুরুতর অসুস্থ নয়, তারা যদি হাসপাতালে যায়, তাহলে হাসপাতালের মূল্যবান সুযোগ-সুবিধাগুলো দ্রুত ফুরিয়ে যাবে এবং অহেতুক চাপ সৃষ্টি হবে।
করোনাভাইরাসের এই সঙ্কটময় সময়ে ফেডারাল সরকার টেলিহেলথ খাত ব্যাপকভাবে বিস্তৃত করেছে। এর মাধ্যমে ডাক্তাররা দূরে থেকেই টেলিফোন কিংবা ভিডিও কলের মাধ্যমে রোগীদেরকে পরামর্শ দিতে পারেন।ডাক্তার ময় বলেন, এটি ডাক্তার এবং কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য এবং সেল্ফ-আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের জন্য ভাল। তাদের উচিত এত্থেকে উপকৃত হওয়া।
অস্ট্রেলিয়ানদের শব্দ-ভাণ্ডারে সম্প্রতি নতুন একটি ফ্রেজ বা শব্দ-গুচ্ছ যুক্ত হয়েছে: "flattening the curve". এর মানে হলো সংক্রমণ কমানো, সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমানো এবং লোকদেরকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য এটাকে হেলথ সিস্টেমের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রাখা।
ডাক্তার ময় বলেন, ইতোমধ্যে আমরা যে কঠোর পদক্ষেপগুলো নিয়েছি, সেগুলোর ফলে অস্ট্রেলিয়ার জন-জীবনে প্রভাব পড়েছে এবং সাম্প্রতিক সপ্তাগুলোতে ফ্লাটেনিং দ্য কার্ভের উপর, অর্থাৎ, সংক্রমণ হ্রাসের উপরে এসবের প্রভাব পড়েছে।
তবে, ডাক্তার ময় আরও সতর্ক করে বলেন যে, অস্ট্রেলিয়ানদের এখনই সন্তুষ্ট হয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। মানুষের আচার-আচরণ এখনও নজরে রাখতে হবে।
আপনার ভাষায় করোনাভাইরাসের আপডেট পেতে sbs.com.au/coronavirus ভিজিট করুন।