আধুনিক দাসত্ব প্রতিরোধে অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানিগুলো কী রকম ভূমিকা পালন করছে?

The blank stare of a child's eye who is standing behind what appears to be a wooden frame

The blank stare of a child's eye who is standing behind what appears to be a wooden frame. Credit: mmg1design/Getty Images/iStockphoto

মনাশ ইউনিভার্সিটির একটি রিপোর্টে দেখা গেছে সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ শৃঙ্খলে আধুনিক দাসত্বের ঝুঁকি নিরূপণের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এদিকে, মডার্ন স্লেভারি অ্যাক্ট-এর পর্যালোচনা করছে ফেডারাল সরকার।


দ্য হিউম্যান রাইটস ল সেন্টার আনুমানিক হিসাব করছে যে, বিশ্বজুড়ে ৪০.৩ মিলিয়ন লোক মডার্ন স্লেভারি বা আধুনিক দাসত্বের শিকার। আর, অস্ট্রেলিয়ায় এই সংখ্যা ১৫,০০০।

এটি চিন্তা করার মতোই একটি বিষয়।

মডার্ন স্লেভারি অ্যাক্ট অনুসারে, আনুমানিক হিসাব করা হচ্ছে যে, কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এবং সেগুলোর সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ শৃঙ্খলে আধুনিক দাসত্বের ঝুঁকি কতোটুকু সে বিষয়ে, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৩,০০০ কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করা প্রয়োজন। আর, এক্ষেত্রে তারা ঠিক কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছে, সে বিষয়টিও বিস্তারিত জানাতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ান ASX 300 কোম্পানি ডিসক্লেইমারগুলো খতিয়ে দেখেছে মনাশ সেন্টার ফর ফাইনান্সিয়াল স্টাডিজ বা MCFS-এর মডার্ন স্লেভারি রিসার্চ প্রোগ্রাম।

এই গবেষকদের মধ্যে রয়েছেন ড. নাগা ফেম, ড. উম্মুল রাথবা এবং ড. বেই কি। রিপোর্টিং-এর যাবতীয় শর্ত কোম্পানিগুলো কীভাবে পূরণ করে তার ভিত্তিতে তারা কোম্পানিগুলোর মাঝে A থেকে F পর্যন্ত রেটিং করেন।

ড. ফেম বলেন, সেন্টারটি দ্বিতীয় বছরের মতো এই রিপোর্টটি প্রকাশ করছে।
মডার্ন স্লেভারি বা আধুনিক দাসত্বের সংজ্ঞার মধ্যে শিশু শ্রম, মানব পাচার, জোর-পূর্বক বিয়ে, শ্রমিকদেরকে প্রতারণার মাধ্যমে নিয়োগ করার প্রবণতা এবং ডেট বন্ডেজের মতো অপরাধগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

দ্য কমনওয়েলথ মডার্ন স্লেভারি অ্যাক্ট ২০১৮ অনুসারে, যে-সব কোম্পানির বার্ষিক রেভিনিউ কমপক্ষে ১০০ মিলিয়ন ডলার হয়, তাদেরকে তাদের কার্যক্রম এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে আধুনিক দাসত্বের ঝুঁকি নিরূপণ করার ক্ষেত্রে তাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করতে হয়।

মিজ ফেম বলেন, কোনো কোনো ASX কোম্পানিতে কিছুটা উন্নয়ন লক্ষ করা গেছে। তারা অধিকতর অর্থ ব্যয় করছে তাদের সাপ্লাই চেইনের অবস্থা আরও ভালভাবে নিরূপণ করার জন্য।

মিজ ফেম বলেন, ডিসক্লেইমারের ক্ষেত্রে উন্নয়ন লক্ষ করা গেলেও আরও তথ্যের প্রয়োজন আছে। সাপ্লায়ারদের সঙ্গে তাদের বিদ্যমান সম্পর্ক ঠিক কী রকম এবং ভবিষ্যৎ সাপ্লায়ারদেরকে কীভাবে বাছাই করা হবে, এসব পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পর্কিত আরও তথ্যের প্রয়োজন, বলেন তিনি।

এই রিপোর্টটিতে ফেডারাল সরকার এবং নিয়ন্ত্রকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে কোম্পানিগুলোকে আরও ভালভাবে সহায়তা প্রদানের জন্য; বিশেষত, রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে যে-সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেক্ষেত্রে। আর, কোন কোম্পানিগুলোকে এই রিপোর্ট প্রদান করতে হবে সে বিষয়েও জনগণকে জানাতে হবে, বলা হয়েছে।

যে-সব কোম্পানি এসব আইনী বাধ্য-বাধকতা মেনে চলে না এবং বার্ষিক রিপোর্ট প্রদান করে না, বর্তমানে সেগুলোর জন্য কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নেই। এই রিপোর্টটির অথরগণ সরকারের কাছে যে-সব সুপারিশ করেছেন সেগুলোর মধ্যে এ বিষয়ক সুপারিশও রয়েছে।

বর্তমানে মডার্ন স্লেভারি অ্যাক্ট-এর পর্যালোচনা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share