বর্ণালী সাহার লেখায় আন্তর্জাতিক রাজনীতির সংকট এবং উগ্র জাতীয়তাবাদী ধ্যানধারণা নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক সমস্যা, দারিদ্র্য, যুদ্ধসহ মানবিক ঘটনার পাশাপাশি রোমান্টিক সাসপেন্স, বন্ধুত্ব, প্রেম ইত্যাদি বিষয়গুলোও স্থান পেয়েছে। এছাড়াও অভিবাসীদের জীবনের ঘাত-প্রতিঘাতও তার কোন কোন লেখায় উঠে এসেছে।
বর্ণালী সাহা এসবিএস বাংলাকে জানাচ্ছেন তার লেখালেখি সম্পর্কে।
হাইলাইটস
- নির্দিষ্ট কোন পাঠকগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে লিখেন না বর্ণালী সাহা, তাই কোন জনরা (Genre) নিয়ে তিনি ভাবিত নন।
- মিজ সাহার বাবা একজন অর্থনীতিবিদ, সেই সুবাদে বাড়িতে প্রচুর বই সহজলভ্য ছিল, যে কারণে ছোট বেলা থেকেই পড়ার অভ্যাসটি ছিল।
- পাঠক থেকে লেখক হয়ে ওঠার যাত্রায় প্রণোদনা পেয়েছেন পশ্চিম বঙ্গের লেখক কমলকুমার মজুমদার ও অমিয়ভূষণ মজুমদার এবং বাংলাদেশের আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের লেখা থেকে।
বর্ণালী সাহা বলেন, কোন লেখা প্রকাশিত হলে পাঠক যে ধরণের ফিডব্যাক দিয়ে থাকেন, তার ওপর ভিত্তি করে তিনি বোঝার চেষ্টা করেন পাঠক তার কোন ধরনের লেখা নিয়ে আগ্রহী।তার প্রথম উপন্যাস 'দ্য নর্থ এন্ড' সম্পর্কে বলেন, "এর পটভূমি বৈশ্বিক, এর কিছু অনুষঙ্গ যেমন চ্যারিটি সেক্টর, হেটেরোসেক্সচুয়াল সম্পর্ক, পারিবারিক সম্পর্কের ঘাত-প্রতিঘাত সুক্ষভাবে এসেছে, যদিও এই উপন্যাসের ঘটনা সবগুলো ঢাকাতেই ঘটে, এবং বলা যায় আমি আমার মত করে আমার জন্ম শহরকে সৃষ্টি করতে চেয়েছি এবং স্বল্প পরিসরে সেটা করতে চেষ্টা করেছি।"
বর্ণালী সাহা Source: বর্ণালী সাহা
ছোটবেলাতেই সুর, ভাষা, ছন্দ ইত্যাদি বিষয়গুলোর পাঠ তিনি গানের মাধ্যমে পেয়েছেন, একই সাথে সাহিত্য পাঠের ক্ষেত্রে শব্দ ও ভাষার দ্যোতনা তার মধ্যে প্রভাব ফেলতো।
তিনি বলেন, "লেখায় অনেক সময় ব্যক্তি জীবনের বিষয় স্থান না পেলেও জীবনের নানা অভিজ্ঞতার ছায়া স্পষ্ট চলে আসে।"
চরিত্র নির্মাণ লেখার কম গুরুত্বপূর্ণ আঙ্গিক মনে করেন মিজ সাহা। তবে স্টোরী আর্ক বা প্লট নিয়ে কিছু বিশেষ টেকনিক অনুসরণ করেন তিনি, বিশেষ করে চরিত্রের ক্রাইসিস, কনফ্লিক্ট পয়েন্ট, রেজুলূশন ইত্যাদি প্রচলিত বিষয়গুলোতে তিনি নজর দেন।
বর্ণালী সাহা বলেন, প্রবাস জীবন তার জন্য অনেক পরিবর্তন এনে দিয়েছে, তিনি কৃতজ্ঞ অস্ট্রেলিয়ার কাছে। জীবিকার জন্য খণ্ডকালীন কাজ করলেও লেখালেখিতে পুরো সময় দিতে চান তিনি।
বর্ণালী সাহার পুরো সাক্ষাৎকারটি শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
আরো দেখুনঃ