বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরছে শিক্ষার্থীরা

Alysha Mohd Nizuaisham.

Alysha Mohd Nizuaisham. Source: SBS

সম্প্রতি হাজার হাজার শিক্ষার্থী তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরেছে। করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী শুরু হওয়ার পর এই প্রথম ফেস-টু-ফেস লার্নিং শুরু হয়েছে ফিরে আসা এসব শিক্ষার্থীর মাঝে রয়েছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরাও। এর আগে সীমান্ত বন্ধ থাকার কারণে তারা অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে পারে নি। এখন তারা বড় সংখ্যায় অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকছে এবং বিশ্ব-বিদ্যালয় জীবনে ফিরছে।


দু’বছর খালি থাকার পর একটি প্রাণোচ্ছল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আসলেই দেখার মতো অভিজ্ঞতা। ইউনিভার্সিটি অফ সিডনিতে শত শত শিক্ষার্থী একত্রিত হয় তাদের বার্ষিক “ওয়েলকাম উইক” উদযাপনে। করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী শুরু হওয়ার পর এ জাতীয় অনুষ্ঠান এটাই প্রথম।

সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর মুখরিত ছিল গান-বাজনা ও বিভিন্ন স্টলে। ভাইস-চ্যান্সেলর মার্ক স্কট বলেন, শিক্ষার্থীদের ফিরে আসার বিষয়টি একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এবং স্থানীয় লোকেরা-সহ সকলেই যেন এই দিনটির প্রতীক্ষায় ছিলেন। 

সিডনিতে ২০২০ সালের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়-জীবন নিয়ে শুরুতেই বিরূপ অভিজ্ঞতা হয় সিঙ্গাপুরের মিজ লি ইং-এর।

আর্লি চাইল্ডহুড বিষয় নিয়ে পড়ছেন তিনি। বিশ্ব-বিদ্যালয়-জীবনে ফিরে আসার জন্য মরিয়া ছিলেন তিনি। 

গত ডিসেম্বরে সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর প্রথম ফ্লাইটে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে আসেন।

করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী শুরু হওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম রপ্তানি খাত ছিল এই আন্তর্জাতিক শিক্ষা খাত। তখন এ খাতের আকার ছিল ৪০ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু, সীমান্ত বন্ধ হওয়ার পর এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনা করায় এই অংক অর্ধেকে নেমে আসে, মাত্র ২২ বিলিয়ন ডলারে। 

তবে, আশা করা হচ্ছে যে, এ বছর ২০২২ সালে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে। 

ডিসেম্বরে সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৬ হাজার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় এসেছে। 

আর, আরও ৫০ হাজার শিক্ষার্থী নতুন ভিসার জন্য আবেদন করেছে। 

অস্ট্রেলিয়ার কঠোর সীমান্ত নীতিমালার কারণে কোনো কোনো শিক্ষার্থী হয়তো বা এদেশে প্রবেশ করতে পারবে না। এ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তবে, এ বিষয়ে বলার সময় আসে নি, বলেন ইউনিভার্সিটিজ অস্ট্রেলিয়ার চিফ একজিকিউটিভ ক্যাটরিনা জ্যাকসন। 

মেলবোর্নের আর-এম-আই-টি এর গেমস ডিজাইন-এর শিক্ষার্থী আলিশা মোহদ নিজোয়ালাম তার কোর্স ছেড়ে দেওয়ার চিন্তাও করেছিলেন। 

কিন্তু, এখন দ্বিতীয় বর্ষে এসে তিনি বলেন, তিনি অপেক্ষা করেছেন বলে তিনি খুশি এবং মেলবোর্নের জীবনও তিনি পছন্দ করছেন। 

আর-এম-আই-টির ওরিয়েন্টেশন ইভেন্টের অংশ হিসেবে মেলবোর্ন সিবিডি-তে ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হয় ২০ জন শিক্ষার্থীকে। এদেরই একজন তিনি। 

আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদেরকে প্রস্তুত করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। 

অস্ট্রেলিয়া-ইনডিয়া ইনস্টিটিউটের অ্যান্ড্রু ডিউকার বলেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য শক্তিশালী সামাজিক বন্ধন তৈরি করা তাদের অভিজ্ঞতা অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। 

এই ট্যুর গ্রুপে ছিলেন ভারতের কৌশিক মুখার্জী এবং কেলভিন ফার্নান্দো। এই দু’জন তাদের নিজেদের আগ্রহের বিষয় খুঁজে পেয়েছেন। 

তারা বলেন, আজীবন বন্ধুত্ব গড়ার জন্য ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা।

পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .


এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 



Share