এসবিএস বাংলার সঙ্গে সঙ্গীত-শিল্পী আখতার জাহানের সাক্ষাৎকারের প্রথম তিনটি পর্বে ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পর্যন্ত তার নানা অভিজ্ঞতার কথা এবং অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে অভিবাসনের পর সঙ্গীত-চর্চা চালিয়ে যাওয়া-সহ অ্যাডিলেইডে বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর বিকাশ নিয়ে কিছু স্মৃতিচারণ।
চতুর্থ (শেষ) পর্বে রয়েছে অ্যাডিলেইডে বাংলাদেশী জনগোষ্ঠীর বিকাশ নিয়ে আরও কিছু কথা।
১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো আখতার জাহান যখন অ্যাডিলেইডে আসেন তখন এবং এরপরে, ১৯৭১ সালে একেবারে চলে আসার পর তখনও অ্যাডিলেইডে বাংলাদেশী কারও খোঁজ পান নি তিনি।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অ্যাডিলেইড তথা সাউথ অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশী কিংবা বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর বিকাশ সম্পর্কে তিনি বলেন,
“আস্তে আস্তে এসেছেন আর কি। আমরা আসার পরে, ১৯৭০ এর দশকে এক জন, দু’জন, ২-৩টি পরিবার এসেছে।”
“তারপর, আমরা একটা অ্যাসোসিয়েশন করলাম BASA। সেটি ছিল প্রথম বাংলাদেশী অ্যাসোসিয়েশন। আমি তার প্রতিষ্ঠাতা-সদস্যদের একজন।”
এই সংগঠনটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন আখতার জাহান। কিন্তু, এক পর্যায়ে গিয়ে তিনি এটি ছেড়ে দেন।
এরপরে প্রতিষ্ঠিত হয় SABCA। তিনি এর সদস্য হন। তবে, এখন তিনি আর এসব কোনো সংগঠনের সঙ্গেই সম্পৃক্ত নন, বলেন তিনি।
অ্যাডিলেইডে তিনি বেশ কয়েকটি ব্যান্ড-দল গঠন করেছেন।
আখতার জাহান বলেন, “যেহেতু আমার ঐ খালি খাওয়া আর কাপড় দেখানো, এসব করা ভাল লাগে না, (তাই) আমি নানান ভলান্টিয়ারিং কাজে জয়েন করেছিলাম। সরকারি ও বেসরকারি।” Credit: Akhter Jahan Rahman
“আমার এখনকার ব্যান্ডের নাম হলো জ্যাজ মাসালা।”
তিনি আরও বলেন,
“যেহেতু আমার ঐ খালি খাওয়া আর কাপড় দেখানো, এসব করা ভাল লাগে না, (তাই) আমি নানান ভলান্টিয়ারিং কাজে জয়েন করেছিলাম। সরকারি ও বেসরকারি।”
পরিশেষে এই সাইকোলজিস্ট বলেন,
“গান-বাজনা করলে মেন্টাল হেলথ এবং ফিজিকাল হেলথ, সবকিছুর জন্য ভাল গান-বাজনা।”
সঙ্গীত-শিল্পী আখতার জাহান রহমানের সাক্ষাৎকারের চতুর্থ (শেষ) পর্বটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: