চৌধুরী মোহাম্মদ সদর উদ্দিন বলেন,
“শুধুমাত্র বাংলাদেশী কমিউনিটি নয়, সর্বোপরি ডারউইনের সমস্ত কমিউনিটির মধ্যেই এটা নিয়ে প্রচণ্ড রকম একটা প্রতিক্রিয়া হয়েছে।”
“বাংলাদেশী কমিউনিটি অবশ্যই অত্যন্ত শকড এ রকম একটা ঘটনার কারণে। কারণ, এ রকম ঘটনা তারা এর আগে কখনও দেখে নি।”
১৯৯৯ সালে সিডনি থেকে ডারউইনে আসেন মোহাম্মদ সদর উদ্দিন। ডারউইনে তিনি বিগত ২৩ বছর ধরে বসবাস করছেন।
“আমি ২৩ বছর যাবৎ ডারউইনে আছি। আমি কখনও এ রকম দেখি নি।”
“আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কখনই আমাদের চিন্তা করতে হয় নি।”
“আমার বাসার অনেক সময় ফ্রন্ট ডোর খোলা থাকে। পিছনের ডোর খোলা থাকে। কখনও কোনো অসুবিধা হয় নি।”
তার মতে, ইদানিং অবস্থাটা এ রকম হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে ডারউইনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বেশ অবনতি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তবে, তার মতে, “ইদানিং আবার এটা উন্নতির দিকে যাচ্ছে।” তিনি আশা করেন যে, পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও ভাল হবে।
সিফাতের মৃতদেহ ধোয়ানোর সময়ে ছিলেন মোহাম্মদ সদর উদ্দিন। এর আগে, সিফাতের সঙ্গে তার কখনও দেখা হয় নি বলেন তিনি। তবে, অন্যদের মাধ্যমে তার সম্পর্কে তিনি যতটুকু জেনেছেন সে সম্পর্কে তিনি বলেন,
“সে খুব প্রাণোচ্ছ্বল ছেলে ছিল। ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করতো, ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করতো।”
“তার ফ্লাটমেটরা আমাকে বলেছেন যে, তার মতো এত ভাল ছেলে সে আর কখনই দেখে নি।”
মোহাম্মদ সদর উদ্দিন বলেন, “ইসলামিক কাউন্সিল অফ নর্দার্ন টেরিটোরি ডারউইনে এই লাশ দাফনের এগুলো কাজ করে থাকে। এছাড়া, এখানে যে মুসলিম কবরস্থান আছে সেটাও দেখাশোনা করে।”
তিনি আরও বলেন, “সেই সূত্রে, আমি যেহেতু চেয়ারম্যান, সেটা আমি দেখাশোনা করি।”
“আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি, যে পরিমাণ সাপোর্ট কমিউনিটি থেকে পাওয়া গেছে, এতে ওভারঅল, সমস্ত ডারউইনের কমিউনিটি থেকে পাওয়া গেছে এবং স্পেশালি, চার্লস ডারউইন ইউনিভার্সিটি থেকে পাওয়া গেছে।”
“চার্লস ডারউইন ইউনিভার্সিটি একস্ট্রা-অর্ডিনারি হেল্প করেছে, প্রতিটা ক্ষেত্রে, খরচ থেকে আরম্ভ করে এমনকি তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্রও বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা চার্লস ডারউইন ইউনিভার্সিটি করেছে।”
চৌধুরী মোহাম্মদ সদর উদ্দিনের সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা অডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: