চীন টুইটারে পোস্ট করা ওই ছবির জন্য ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করছে ,টুইটারে আপাতভাবে দেখানো হয়েছে একজন অস্ট্রেলিয়ান সৈন্য এক আফগান শিশুর গলায় রক্তাক্ত ছুরি ধরে আছে , এর নীচে লেখা আছে যে 'ভয় পাবেন না 'আমরা আপনাকে শান্তি বয়ে আনতে আসছি '
পরিবর্তিত চিত্রটি চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক বিভাগের এক মুখপাত্র টুইট করেছেন এবং আফগানিস্তানে অস্ট্রেলিয়ান সৈন্যদের দ্বারা পরিচালিত অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে ব্রেইটনের তদন্তের পরেই এটা প্রকাশ করা হলো।এটিকে অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতির উভয় পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে ।প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এটিকে আপত্তিকর আখ্যা দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
.
মঙ্গলবার ১ ডিসেম্বর গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং এই টুইটটিকে উস্কানিমূলক বলে বর্ণনা করেছেন এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।তবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের অপর মুখপাত্র হুয়া চুনিং অস্ট্রেলিয়ার প্রতিক্রিয়া জঘন্য বলে মন্তব্য করেছেন ।
লুই ইনস্টিটিউটের চীন বিশ্লেষক, নাতাশা কাসাম উল্লেখ করেন যে গত বছরে আরও বেশি বেশি চীনা কর্মকর্তা টুইটারে সক্রিয় ছিলেন এবং পশ্চিমা কর্মকর্তাদের সাথে ঝগড়া করার জন্য এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেছেন।
.
চাইনিজ অস্ট্রেলিয়ান ফোরামের সভাপতি জেসন ইয়েট-সেন লি বলেন, চীনা বিদেশি মুখপাত্র অস্ট্রেলিয়ান সরকারকে মূলত ট্রল করছে এবং প্রধানমন্ত্রীর আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া এ ক্ষেত্রে ভাল হয়নি।
এদিকে, ক্রমবর্ধমান দ্বিপক্ষীয় উত্তেজনার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার চীনা সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাদের অবদানে সরকারের সমর্থন জানানোর জন্য ভারপ্রাপ্ত অভিবাসন মন্ত্রী অ্যালান টাজ টেলিকনফারেন্স করেছেন।লিবারেল সাংসদ ডাঃ ফিয়ানা মার্টিন এবং গ্লাডিস লিউও এই কনফারেন্স যুক্ত ছিলেন।
মঙ্গলবার মিঃ টাজ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির কার্যকলাপ কোনোভাবে অস্ট্রেলিয়ানদের সাথে চীনাদের ঐতিহ্যগত সম্পর্কের কোনো প্রভাব ফেলবে না।