ঘরে নিরাপদে বসবাস করার চেষ্টা করছেন লক্ষ লক্ষ অস্ট্রেলিয়ান। কিন্তু, গত ১৮ মাস ধরে করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারীর সময়টিতে অনলাইনে নিরাপত্তা-ঝুঁকি বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের হেড অ্যাবিগেইল ব্রাডশ।
সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের প্রকাশিত বার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্টে দেখা যায়, অনলাইন কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সাইবার আক্রমণও বেড়েছে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
এতে দেখা যায় যে, বিগত অর্থ-বছরে প্রায় ৭০,০০০ সাইবার অপরাধের রিপোর্ট করা হয়েছে, যার ফলে আনুমানিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিফেন্স মিনিস্টার অ্যান্ড্রু হ্যাস্টি বলেন, অস্ট্রেলিয়ানদেরকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
অ্যাবিগেইল ব্রাডশ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো চাপের মধ্যে আছে।
এ বছরের শুরুর দিকে, একটি বড় ধরনের র্যানসমওয়্যার আক্রমণের পর, বৈশ্বিক মাংস প্রক্রিয়াজাতকারী কোম্পানি জে-বি-এস ফুডস ১৪ মিলিয়ন ডলার র্যানসম বা খেসারত দিতে বাধ্য হয়েছিল।
আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এ ধরনের আক্রমণের ঘটনা এদেশেও ঘটতে পারে। আর, এটা শুধু সাইবার অপরাধীদের দ্বারাই ঘটবে না।
রিপোর্টটিতে বলা হচ্ছে, এই মহামারীর সময়টিতে অস্ট্রেলিয়ায় এক্ষেত্রে দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে আরও নানা রকম অপরাধীরা এবং গুপ্তচরবৃত্তিও করা হচ্ছে।
অ্যান্ড্রু হ্যাস্টি বলেন, এসবের পেছনে রাষ্ট্রীয় মদদও রয়েছে।
চার ভাগের এক ভাগ আক্রমণ পরিচালিত করা হয় অপরিহার্য পরিষেবাগুলোকে লক্ষ করে। এ সম্পর্কে মিস্টার হ্যাস্টি বলেন,
ফেডারাল বিরোধী দলীয় নেতা অ্যান্থোনি অ্যালবানিজি বলেন, এসব হুমকি প্রতিরোধে সরকারের বহু কিছু করণীয় আছে।
গত জুলাই মাসে বেশ কয়েকটি দেশের দ্বারা গঠিত একটি কোয়ালিশনে যোগ দেয় অস্ট্রেলিয়া। এই কোয়ালিশনটি বিশ্ব জুড়ে হাজার হাজার মাইক্রোসফট ব্যবহারকারীর উদ্দেশে পরিচালিত একটি বড় ধরনের সাইবার আক্রমণের জন্য চীনকে দায়ী করে।
রাষ্ট্রীয় মদদে কীভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটে তার উদাহরণ হিসেবে এই ঘটনাটির উল্লেখ করা হয় সেই রিপোর্টটিতে।
এই অনিশ্চিত সময়টিতে এ ধরনের হুমকি বেড়েই চলেছে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।