হাইলাইটস
- অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের সময়ে নারী-পুরুষদের উভয়েরই দক্ষতার পর্যায় একই রকম থাকে।
- নারীদের বেকারত্বের হার বেশি।
- সিডিএনআই আসলে নারী-পুরুষ সবাইকে নিয়েই কাজ করে।
কালচারাল ডাইভার্সিটি নেটওয়ার্ক ইনকর্পোরেটেড একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। অস্ট্রেলিয়ায় নবাগত অভিবাসী, শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী, এককথায় অসহায় ব্যক্তিদেরকে অভিবাসনে সহায়তা করা হয় এর মাধ্যমে, বলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট, নারী অধিকার-কর্মী ড. সাবরিন ফারুকি।
এই কাজগুলো করা হয় বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে। তিনি বলেন,
“আমাদের প্রোগ্রামগুলো হয়ে থাকে সাধারণত সেই বিষয়গুলো নিয়ে যেগুলো এই মানুষগুলোকে সহায়তা করে থাকে। যেমন, চাকুরির প্রস্তুতি, আইনী অধিকার সম্পর্কে জানা, সড়ক নিরাপত্তা, এ রকম আরও অনেক বিষয় আছে যেগুলোতে আমরা নজর দিয়ে থাকি।”
সম্প্রতি তারা আরও দুটি বিষয়ে জোর দিচ্ছেন। এগুলো হলো বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য ডিজিটাল লিটারেসি এবং মানসিক স্বাস্থ্য ইস্যু।
তিনি বলেন, ডিজিটাল লিটারেসির জন্য জুমের মাধ্যমে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
“বাসায় বসে কীভাবে মাই গভ ব্যবহার করা যাবে, কীভাবে অনলাইনে ব্যাংকিং করা যায় বা নিজেকে কীভাবে ব্যস্ত রাখা যায় এই অনলাইন ওয়ার্ল্ডে।”
সিডিএনআই আসলে নারী-পুরুষ সবাইকে নিয়েই কাজ করে। কিন্তু, আমাদের একটা বড় ফোকাস হচ্ছে নারী। কারণ, তাদের বেকারত্বের হার বেশি।
“কীভাবে সিনিয়র অস্ট্রেলিয়ানরা জুম ব্যবহার করবেন আমরা সেটাও শিখার জন্য সহায়তা করছি।”
ড. সাবরিন ফারুকি বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের সময়ে নারী-পুরুষদের উভয়েরই দক্ষতার পর্যায় একই রকম থাকে।
“কিন্তু, যখন জব মার্কেটে ঢুকে, তখন দেখা যায়, ছেলেরা বেশি জব-মার্কেটে ঢুকে। বেকারত্বের হার মেয়েদের বেশি।”
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের পর মেয়েরা সাধারণত ঘর-সংসার এবং সন্তান প্রতিপালনে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এগুলো সামাল দিয়ে, বাচ্চা বড় হওয়ার পর যখন তারা জব-মার্কেটে প্রবেশ করতে চান, ততদিনে তাদের সঙ্গে জব-মার্কেটের অনেক দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে যায়।।ড. সাবরিন ফারুকির সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
অভিবাসী এবং শরণার্থী নারীদের জন্য সিডনির মিন্টোতে গত ২৮ অক্টোবর ২০২০ অনুষ্ঠিত হলো ইনডিপেন্ডেন্ট উইমেন প্রোগ্রাম। Source: Dr Sabrin Farooqui