জমে উঠেছে ঢাকার ইফতারির বাজার। সাধারণ ইফতার আইটেম, যেমন, ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, জিলাপি ও হালিমের পাশাপাশি নানা রকম ভারতীয়, থাই ও চায়নিজ পদ বিক্রি করতে দেখা গেছে কোনো কোনো রেস্তোরাঁয়। পরোটা, মুরগির নানা পদ, বিফ তাওয়া ড্রাই রয়েছে অনেক রেস্তোরাঁয়। রেস্তোরাঁ ভেদে বিরিয়ানি ও কাবাবের রয়েছে নানা রকম পদ।
চকবাজারের রাস্তায় আবার সেই চেনা দৃশ্য ফিরল দুই বছরের দুঃসময়ের পর। গত রবিবার পয়লা রমজানে পুরান ঢাকার চকবাজার জামে মসজিদের সামনের সড়কের এমাথা–ওমাথা ভরে উঠেছিল হরেক রকমের কাবাব, কোফতা, রোস্ট, পরোটা, তন্দুরি, ফুলুরি, পেঁয়াজু, বেগুনি, হালুয়া, শরবতের মতো শতেক পদের উপাদেয় খাদ্যের সম্ভারে। চৈত্রের ঝাঁজালো বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছিল তার ঘ্রাণ। তবে দাম বেশ চড়া।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
রোজার প্রথম দিন থেকেই চকবাজারে ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে বিক্রেতারা তাঁদের পসরা সাজিয়েছেন। করোনা অতিমারির কারণে গত দুই বছর চকের এ ইফতারির বাজার সেভাবে বসে নি। বাজার বসবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল এবারও। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা, সাংসদের প্রতিনিধিরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ইফতারির বাজার বসানোর ব্যবস্থা করেন। বেলা তিনটা থেকে উর্দু রোড মোড় থেকে চক মসজিদের সামনের সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ করে ইফতারির পসরা বসে যায়।
চকের ইফতারির খ্যাতি তার বহু ধরনের কাবাব ও গোশতের পদগুলোর জন্য। লম্বা শিকের সঙ্গে সুতা দিয়ে বিশেষ কায়দায় পেঁচিয়ে তৈরি করা সুতি কাবাব তো ইফতারিতে খুবই জনপ্রিয়। মুড়ি, ঘুগনি, ছোলা প্রভৃতির সঙ্গে সুতি কাবাব যোগ করে একত্রে মাখিয়ে খাওয়া হয়। এ ছাড়া কাবাবের মধ্যে আছে শিক, শামি, রেশমি, জালি, বটি, খিরি, গুর্দা, টেংরি, হান্ডি এসব। আরও আছে আস্ত মুরগি, কোয়েল ও কবুতরের রোস্ট, রেজালা, চাপ ইত্যাদি।
রাজধানী ঢাকা শুধু নয়, বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বসেছে ইফতারির বাজার। চলবে পুরো রোজার মাস জুড়ে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: