চিফ মেডিকেল অফিসাররা আশাবাদী যে, অস্ট্রেলিয়া করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছানো থেকে রক্ষা পাবে।
গত রবিবার পর্যন্ত আরও ১৩৯ টি নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে, যার ফলে অস্ট্রেলিয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৫৬৮৭ টি।
সংক্রমণের হার সাম্প্রতিক দিনগুলিতে সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়, এর ফলে প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে যে, সংক্রমণের হারের গ্রাফ রেখা কার্ভ থেকে ফ্লাট হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ, এটি এখন ঊর্ধ্বমুখী থেকে নিচু হয়ে যাচ্ছে।
রবিবার ভিক্টোরিয়ায় ২০ টি নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে, যা আগের দিনের সংখ্যা থেকে ৩০ জন কমেছে।
ভিক্টোরিয়ার চিফ মেডিকেল অফিসার ডক্টর ব্রেট সুতন বলেছেন, সংক্রমণের প্রকোপ স্থিতিশীল হচ্ছে। এটি একটি ভাল লক্ষণ।
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করেছেন যে, পরের দুই সপ্তাহ বিশেষত কঠিন হয়ে উঠবে।
সেখানে কোভিড -১৯ এ মৃতের সংখ্যা ৮০০০-এরও বেশি বেড়েছে, ভাইরাসটির ৩১০ হাজারেরও বেশি আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে - যা বিশ্বের সর্বোচ্চ।
মিস্টার ট্রাম্প বলেন যে, তিনি নিউইয়র্কের মতো সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত অঞ্চলে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনী পাঠাচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ার চিফ মেডিকেল অফিসার ব্রেন্ডন মারফি বলেছেন, তিনি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী যে, নিউইয়র্ক এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে যা ঘটছে তা এড়াতে পারবে অস্ট্রেলিয়া।
প্রফেসর মারফি বলেন যে, মহামারী নিয়ন্ত্রণ করতে সীমান্ত বন্ধ এবং সম্প্রদায়ের সংক্রমণ রোধে নেওয়া প্রাথমিক পদক্ষেপগুলি অস্ট্রেলিয়ায় ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে।
তবে আশা জাগানো এসব প্রাথমিক লক্ষণ সত্ত্বেও জনসাধারণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডক্টর ব্রেট সুতান বলেন, কঠোরভাবে সোশাল ডিস্টেন্সিং বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা দরকার, যাতে করে অস্ট্রেলিয়া তার হাসপাতালগুলিকে অতিরিক্ত চাপের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া রবিবার মধ্যরাত থেকে অন্তত ছয় মাসের জন্য কঠোরভাবে সীমান্ত বন্ধ করেছে।
তবে কেবল মাত্র স্বাস্থ্যকর্মী, জরুরি পরিষেবাগুলো, মালবাহী কর্মী, বিভিন্ন পেশার বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা, বিচার বিভাগীয় পরিষেবা এবং compassionate ground এ যারা আছেন তাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
আপনার ভাষায় করোনা ভাইরাসের আপডেট পেতে sbs.com.au/coronavirus ভিজিট করুন।