মেলবোর্নে ছেলে ফিলিপকে সঙ্গে নিয়ে একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি পরিচালনা করেন ভিকি স্কোরমিন। ৭০ বছর বয়সী ভিকি অস্ট্রেলিয়ান র্যাগ ট্রেডের ক্ষেত্রে তার জীবনে অনেক পরিবর্তন দেখেছেন। তবে, গত বছর করোনাভাইরাসের আঘাতের মতো পরিবর্তন এর আগে কখনও দেখেন নি তিনি। একটি বড় ধরনের অর্ডার হারিয়ে এখন তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
সুরক্ষাদানকারী পোশাক তৈরি করে করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারীর সময়টিতে এই পরিবারটি কোনোভাবে টিকে আছে। তবে, বিগত ৩৭ বছরে তারা শুধুমাত্র কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়েন নি।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
অস্ট্রেলিয়ায় বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ পোশাক-কাপড়ই চীনে তৈরি। ভিকির ব্যবসা ‘সি-জি-টি অস্ট্রেলিয়া’ স্থানীয় বহু উৎপাদনকারীর মতোই ব্যবসা টেকানোর জন্য অনেক সংগ্রাম করছে।
ভিকির ছেলে ফিলিপ বলেন, এখন ব্রান্সউইকের এই ব্যবসাটি আবারও ‘মেড ইন অস্ট্রেলিয়া’ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে।
গ্রিসের একটি পোশাক উৎপাদনকারী পরিবারে ফিলিপের মা ভিকির জন্ম। তারা দু’জন সম্প্রতি সিডনি ও মেলবোর্নের অন্যান্য ব্যবসা-মালিকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। কর্পোরেট ল’ইয়ার কেট ডিলন “মেকিং অল অস্ট্রেলিয়ান ক্যাজুয়াল ওয়্যার” নামের একটি অনলাইন রিটেইল চালু করেছেন।
বহুল সংখ্যক নারী আজকাল ঘরে থেকে কাজ করায়, অনলাইনে কেটের দামি হ্যান্ডব্যাগগুলোর বিক্রি কমে যাওয়ায় তিনি সোয়েটশার্টের এই আইডিয়াটি গ্রহণ করেন।
কোভিডের এই সময়টিতে “মেড ইন অস্ট্রেলিয়া” আশার আলো দেখিয়েছে। লকডাউনের কারণে বহু রিটেইলার বা খুচরা ব্যবসায়ীর ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। আর, সরবরাহ-শৃঙ্খল ভেঙ্গে পড়ায় ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় শতকরা ১৪ ভাগ বেড়ে গেছে।
অস্ট্রেলিয়ায় বিক্রি হওয়া পোশাক-কাপড়ের শতকরা ৭৫ ভাগ যোগান আসে চীন থেকে। মাত্র ৪ শতাংশ তৈরি হয় অস্ট্রেলিয়ায়। কেট ডিলন বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় উৎপাদিত পণ্য কেনা হলে স্মল ও ফ্যামিলি বিজনেসগুলো করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক মহামারীর সময়টিতে টিকে থাকতে পারবে।
সোয়েটশার্টের প্রথম চালান ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। এর জন্য আরও অর্ডার এসেছে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ানদের আগ্রহ বাড়ছে। ইন্ডাস্ট্রি নেতৃবৃন্দ বলছে, এর মাধ্যমে ফ্যাশন ও টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির প্রায় অর্ধ-মিলিয়ন কর্মী সুরক্ষা পাবে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।