মেলবোর্নের ফার্মেসি ম্যানেজার ফিং ল’ তার কর্মস্থলে একমাত্র কর্মী। মেলবোর্নের কঠোর লকডাউনের সময়টিতে সামান্য যে কয়টি স্টোর খোলা রাখার অনুমতি পেয়েছে, তার স্টোরটি এর মধ্যে রয়েছে।
মেলবোর্নে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় তরঙ্গ আঘাত হানায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ব্যবসা।ভাইরাস-কবলিত ভিক্টোরিয়াকে নজরে রেখে ফেডারাল সরকার সম্প্রতি জবকিপার স্কিমে পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছে। ব্যবসায়ী গোষ্ঠীরা আশা করছে, এর ফলে আরও বেশি লোকজন কাজে-কর্মে নিয়োজিত থাকতে পারবে।
সরকার আরও ১৫ বিলিয়ন ডলার এতে যুক্ত করায় বেতন-ভর্তুকির এই স্কিমটিতে সর্বমোট অর্থায়ন ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেল।
সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ যখন এই স্কিমটির পেমেন্ট কমানো হবে, তখন এর উপযুক্ততা লাভের মানদণ্ডও সহজ করা হবে।ফেডারাল ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, এখন কঠিন সময় যাচ্ছে।
জবকিপার পেমেন্ট পেতে হলে ব্যবসাগুলোর সেপ্টেম্বরের টার্নওভার বা আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক কম হতে হবে।এর আগে, ব্যবসাগুলো ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জবকিপারের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে তাদেরকে জুন এবং সেপ্টেম্বর- উভয় কোয়ার্টারের টার্নওভার তাৎপর্যমূলকভাবে কমে যাওয়া দেখাতে হতো।
জাতীয় এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন ভিক্টোরিয়ার প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ।
মিস্টার অ্যান্ড্রুজ বলেন, এ বছরের শেষ নাগাদ বাজেটে প্রণোদনাসহ আরও উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হবে।এদিকে, ব্যবসা, পরিবার ও কর্মীদের জন্য সার্ভাইভাল পেমেন্ট প্রদানে মনোযোগ দিবে ভিক্টোরিয়া সরকার।শ্যাডো ট্রেজারার জিম চালমার্স বলেন, ফেডারাল জবকিপার এবং জবসিকার প্রোগ্রামগুলোতে এখনও কমিউনিটির অনেকে বাদ পড়েছে।
ফাইন্যান্স মিনিস্টার ম্যাথিয়াস কোরম্যান স্কাই নিউজকে বলেন, আরও পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে সরকার খোলা মনের পরিচয় দিচ্ছে।
আপনার ভাষায় করোনাভাইরাসের হালনাগাদ তথ্য পেতে sbs.com.au/coronavirus দেখুন।