একসময় সফট পাওয়ার হিসেবে পরিচিত ছিল চীন। এখন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রে পরিগণিত হওয়ার মিশন নিয়ে কাজ করে চলেছে তারা।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে এই মিশন জোরেশোরে এগিয়ে চলছে।
মি. শি তার তৃতীয় মেয়াদ নিশ্চিত করতে চলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটা বাস্তবায়িত হলে শাসক হিসেবে তার মেয়াদকাল ১০ বছর ছাড়িয়ে যাবে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
লোয়ি ইনস্টিটিউটের ড. জেনিফার সু বলেন, বিশ্ব-মঞ্চে চীনের শক্তিশালী উপস্থিতির বিষয়টি কমিউনিস্ট পার্টির আসন্ন ২০তম কংগ্রেসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে পারে।
এই কংগ্রেসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে মিস্টার শি জিনপিংয়ের ২০৪৯ ভিশন, যা কিনা ১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন গঠিত হওয়ার পর পরবর্তী ১০০ বছরে চীনের উন্নয়ন-পরিকল্পনা।
তবে মি. শি জিনপিং বিদেশী এবং অভ্যন্তরীণ কিছু নীতিমালার কারণে তৈরি হওয়া বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন, যেগুলোর ফলে চীনের অভ্যন্তরে এবং বাইরে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে।
এগুলোর একটি হলো চীনের হার্ড-লাইন জিরো কোভিড পলিসি।
চীনের এনভায়রনমেন্টাল হেলথ ক্রাইসিস নিয়ে ‘টক্সিক পলিটিক্স’ নামে একটি বই লিখেছেন গ্লোবাল হেলথের সিনিয়র ফেলো ইয়াংঝং হুয়াং।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ বিষয়ক ইস্যুগুলো কংগ্রেসে আলোচিত হতে পারে।
সেই সাথে আলোচনায় আসতে পারে চীনের সঙ্কুচিত জনসংখ্যার বিষয়টিও। যার জন্যে দায়ী চীনের এক সময়ের ওয়ান-চাইল্ড পলিসি।
আরও রয়েছে তাইওয়ানের বিষয়টি। এটি একটি বিতর্কিত ইস্যু, যা সহজে উপেক্ষা করা যায় না।
এবারে মি. শি জিনপিংয়ের মেয়াদ বাড়ানো হলে তা ১০ বছর ছাড়িয়ে যাবে। কেউ কেউ তাকে সাবেক কমিউনিস্ট নেতা মাও সে তুং-এর সাথে তুলনা করছেন।
অস্ট্রেলিয়া-চায়না রিলেশন্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর জেমস লরেনসেসন বলেন, চীন এবং অস্ট্রেলিয়ার মাঝে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকা সত্ত্বেও, এই দেশ দু’টির মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক এখনও বিকশিত হচ্ছে।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির এই ২০তম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ অক্টোবর।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: