নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জনাব আব্দুল জলিল বলেন,
“ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল শুরু করেছি ২০০১ সাল থেকে। এখানে প্রতি রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্লাস চলে। প্রথম দুই ঘণ্টা আমরা ভাষা শিখাই এবং শেষ একঘণ্টা আমরা সঙ্গীত শিখাই।”
এর বাইরেও তারা বাংলাদেশের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন দিবস উদযাপন করেন। যেমন, একুশে ফেব্রুয়ারি (আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস), বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস এবং পহেলা বৈশাখ।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দিবসগুলো উদযাপন করা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
“অস্ট্রেলিয়ান দিবসগুলো আমরা আমাদের (বাংলা) স্কুলে আলাদাভাবে পালন করি না।” এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ান মূলধারার স্কুলগুলোতেই তারা সেগুলো পালন করে থাকে।
বাংলা স্কুলের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আব্দুল জলিল বলেন,
“আমাদের উদ্দেশ্য হলো আমাদের যেটা ঐতিহ্য, আমাদের যেটা সংস্কৃতি, আমাদের যেটা ভাষা, সেই ব্যাপারেই আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে উদ্বুদ্ধ করাটাই আমাদের লক্ষ্য।”
এই স্কুলটিতে প্রতিবছর গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। আব্দুল জলিল বলেন, এ বছর ৫২ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে।
তারা মূলত বাংলাদেশের দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় শ্রেণীর সমমানের বাংলা ভাষা শেখাচ্ছেন। এর চেয়ে অগ্রসর পর্যায়ে কেউ যদি বাংলা শিখতে চান তাহলে তারা লিভারপুলে স্যাটারডে স্কুল অফ নিউ সাউথ ওয়েলসের যেতে পারেন। সেখানে হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা আরও অগ্রসর পর্যায়ের পাঠ গ্রহণ করতে পারেন।
আব্দুল জলিলের সাক্ষাৎকারটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
Abdul Jalil, the president of the Campbelltown Bangla School in Sydney, NSW. Source: Supplied
এসবিএস ন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ কম্পিটিশন ২০১৯-এ যোগদানের জন্য সবাইকে একটি ভাষা শেখার আহ্বান জানাচ্ছে এসবিএস রেডিও। আপনিও জিতে নিতে পারেন একটি উইকলি অ্যাপল ওয়াচ কিংবা বড় কোনো পুরস্কার। ভিজিট করুন:
এই প্রতিযোগিতা শেষ হবে ২৭ সেপ্টেম্বর। এটি স্পন্সর করেছে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।