গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো
- কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে ক্রয়কৃত গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহে "অতিরিক্ত এবং দীর্ঘ বিলম্বের" জন্য মোজাইককে প্রায় ৯ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হয়েছে।
- প্রথাগত খুচরা বিক্রির মডেলের ওপর নির্ভরশীল থাকায় ই--কমার্স-চালিত বাজারে মোজাইকের ব্যবসায়িক মডেল ব্যর্থ হয়।
- বাংলাদেশি সাপ্লাইয়াররা বলছেন, মোজাইকের কাছে বিপুল অর্থ আটকে থাকায় তাদের ২৩টি কোম্পানীর অনেকেরই 'পথে বসার' উপক্রম হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার ফ্যাশন রিটেইলার মোজাইক ব্র্যান্ডস এর কাছ থেকে পাওনা আদায়ের জন্য নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলি।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন (বিজিএমইএ) এর সূত্রে জানা যায়, মোজাইকের কাছে অর্থ পাওনা রয়েছে ২৩ বাংলাদেশি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের।
মোজাইক ব্র্যান্ডস লিমিটেড অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বৃহৎ ফ্যাশন রিটেইলার গ্রুপ হিসেবে পরিচিত। তাদের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে রয়েছে মিলার্স, রকম্যানস, ননি বি, রিভার্স, কেটিস, অটোগ্রাফ, ডব্লিউ লেন, ক্রসরোডস ও বিম।
আরও শুনুন
‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো মেলবোর্ন ২০২৩’ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
SBS Bangla
28/11/202312:42
সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশনস লিমিটেডের পরিচালক জাবেদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন,
“আমার কারখানা আরব শাতিল ফাশিয়ান্স লিমিটেডের ২.৫৫ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার ছিল। তার মধ্যে ১.৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য এক্সপোর্ট করেছি, এগুলোর পেমেন্ট পাচ্ছি না; এছাড়া বাকি ৮ থেকে ৯ লক্ষ ডলারের মালামাল আমাদের কারখানায় আছে। পুরো টাকাটাই আটকে আছে।”
পাওনা আদায়ের বিষয়ে জাবেদ বলেন,
"আমাদের প্রায় ২৩টি কারখানা অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের হাই-কমিশনগুলোতে এবং সংশ্লিষ্ট অনেক জায়গাতেই বকেয়া পাওনার জন্য আবেদন করেছি। তবে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন পরবর্তীতে সহায়তার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তেমন সাড়া পাই নি।"
আমরা সত্যিকার অর্থে কোন আশা পাচ্ছি না, বা কোনো ভরসাও পাচ্ছি না। আমরা এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন, অনেক সাপ্লাইয়াররা পথে বসার অবস্থায় পড়ে গেছে। কারণ, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এত বড় লোকসান কাটিয়ে উঠার মত সক্ষমতা অনেক ফ্যাক্টরিরই নাই।জাবেদ হোসেন ভূঁইয়া, পরিচালক, পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশনস লিমিটেড।
মোজাইক ব্র্যান্ডের রিসিভার কেপিএমজির সাথে যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
"আমরা সিডনিতে গিয়ে তাদের সাথে মিটিং করেছি। কিন্তু ,এরপরে রিসিভার বা অডিট কোম্পানি আমাদের সাথে সেইভাবে যোগাযোগ করছে না। এখানে বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, চীন-সহ অনেক সাপ্লাইয়ারদের মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আটকে আছে।"
“আমরা সত্যিকার অর্থে কোন আশা পাচ্ছি না, বা কোনো ভরসাও পাচ্ছি না। আমরা এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন, অনেক সাপ্লাইয়াররা পথে বসার অবস্থায় পড়ে গেছে। কারণ, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এত বড় লোকসান কাটিয়ে উঠার মত সক্ষমতা অনেক ফ্যাক্টরিরই নাই”, বলেন জাবেদ।
মোজাইক ব্র্যান্ডসের রিসিভারস এবং ম্যানেজার্স কেপিএমজির সাথে এসবিএস বাংলার পক্ষ থেকে ইমেইলে যোগাযোগ করা হলে সংস্থাটি উত্তর দেয় যে, তারা সাপ্লাইয়ারদের সাথে বসতে নোটিশ দিয়েছে এবং মোজাইক গ্রুপের কাছ থেকে সাপ্লাইয়ারদের পাওনা যতটা সম্ভব ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সংস্থা এফটিআই কন্সালটিংয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের প্রতিনিধি এসবিএস বাংলাকে বলেন,
“আমরা সকল সরবরাহকারীদের সাথে যোগাযোগ করেছি। যখন আমাদের প্রথম ক্রেডিটরদের সাথে বৈঠক হয়, তখন বেশিরভাগ বাংলাদেশি সরবরাহকারীর প্রতিনিধিত্ব ছিল। তবে ভলান্টারী অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া এখনও চলমান।”
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন (বিজিএমইএ) বলছে, তারা ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সঙ্গে তিনবার যোগাযোগ করেছে।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছিলেন।
তিনি বলেন,
"আমরা বিজিএমইএর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করেছিলাম ২৩টা কোম্পানির পাওনার বিষয়ে।"
আরও শুনুন
অস্ট্রেলিয়ান পণ্য কিনে ছোট ব্যবসাগুলো রক্ষা করা যায়
SBS Bangla
24/08/202104:35
“পাওনার ব্যাপারে এই কোম্পানিগুলো বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে তারা স্বীকার করলেও বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশন বলেছে যে, বাণিজ্যের ব্যাপারে তাদের কিছু করণীয় নেই। তবে তারা পরামর্শ দিয়েছে আমাদের এই ফ্যাক্টরিগুলো চাইলে লিগ্যাল ব্যবস্থা নিতে পারে,” বলেন রুবেল।
মোজাইক কোম্পানিতে রিসিভার নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন,
“আমরা আশা করছি তারা যাতে এক্ষেত্রে আমাদের কোম্পানিগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়। তা না হলে, অস্ট্রেলিয়া এবং তাদের ব্র্যান্ডগুলোর সুনামের উপর এটি প্রভাব ফেলবে। “
বাংলাদেশের কিছু গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিয়ে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। এখন এই কোম্পানিগুলো যদি তাদের টাকা না পায় তবে শ্রমিকদের বেতন দিতে তারা ব্যর্থ হবে এবং অস্থিরতা আরো বাড়বে। এ ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া সরকারের উচিত বিষয়টির সুরাহা করতে সহায়তা করা।মহিউদ্দিন রুবেল, বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক।
ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে তিনি রপ্তানিকারকদের প্রতি পরামর্শ দেন যে, এ ধরনের কাজের সময় দেনা-পাওনার ক্ষেত্রে তাদের অতীত ইতিহাস চেক করে নেয়া উচিত। একান্তই যদি নতুন বায়ারদের সাথে কাজ করতে হয় তবে নিজেদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো চিন্তা করে করা উচিত।
রুবেল আরও যোগ করেন,
"বাংলাদেশের কিছু গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। এখন এই কোম্পানিগুলো যদি তাদের টাকা না পায় তবে শ্রমিকদের বেতন দিতে তারা ব্যর্থ হবে এবং অস্থিরতা আরো বাড়বে। এ ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া সরকারের উচিত বিষয়টির সুরাহা করতে সহায়তা করা।"
অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের একজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এসবিএস বাংলাকে বলেন,
“এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বেশ কিছু দিন ধরে কাজ করছি। রিসিভার এবং ভলান্টারী অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সংস্থাগুলোর সাথে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। তবে পাওনা আদায়ে হাইকমিশনের সরাসরি যুক্ত হওয়ার সুযোগ নেই”
তিনি মোজাইকের ভলান্টারী অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এফটিআই কনসাল্টিং এর সাথে বিজিএমইএকে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
কেন এই সংকট?
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ কয়েক বছর ধরে মোজাইক ব্র্যান্ডসের সঙ্গে ব্যবসা করছে।
শাতিল আরব ফ্যাশন্সের জাবেদ বলেন,
“আমরা মোজাইক ব্র্যান্ডের সাথে ১২০ দিনের সেলস কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে কাজ করতাম, মানে এক্সপোর্ট করার ১২০ দিনের মধ্যে পেমেন্টটা পাব, যেটা বিল অফ ল্যাডিং বলে পরিচিত, কিন্তু এই নিয়ম তারা মানে নি।”
এই নিয়ম না মানার ক্ষেত্রে মোজাইকের আর্থিক সমস্যার কথা বলছে ব্র্যান্ডটি।
জাবেদ বলছেন, তারা এখন রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় চাইছে।
অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশন (ACCC) অনুসারে, মোজাইক ব্র্যান্ডস হল একটি পাবলিক লিস্টেড কোম্পানি, যেটি মহিলাদের ফ্যাশনে বিশেষজ্ঞ। এটির আনুমানিক ৭.৮ মিলিয়ন অনলাইন গ্রাহক রয়েছে এবং সারা দেশে তারা প্রায় ৮০৪টি স্টোর পরিচালনা করে।
LISTEN TO
বাংলাদেশের সীতাকুণ্ডে একটি কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীসহ ৪১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার, আহত ১৫০
SBS Bangla
06/06/202205:15
এসিসিসি মে ২০২১ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২২-এর মধ্যে কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে ক্রয়কৃত গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহে "অতিরিক্ত এবং দীর্ঘ বিলম্বের" জন্য ইনফ্রিঞ্জমেন্ট নোটিশ জারি করেছে, যার ফলে তাদের প্রায় ৯ লাখ ডলার জরিমানা গুনতে হয়েছে।
মোজাইক ব্র্যান্ডস এর এই অবস্থায় বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা ছাড়াও সংস্থাটির হাজার হাজার কর্মসংস্থান ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ২৭০০ কর্মী ও ৮০০-এরও বেশি দোকান পরিচালনাকারী কোম্পানিটি সরবরাহ চেইনের বিঘ্ন এবং বিক্রয় হ্রাসসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
প্রশাসক হিসেবে এফটিআই কনসাল্টিং নিয়োগ পেয়েছে, আর কেপিএমজি রিসিভার এবং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করবে। তারা একসঙ্গে মূল্যায়ন করবে যে, মোজাইক পুনর্গঠিত হয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে কিনা বা লিকুইডেশন প্রয়োজন হবে কিনা।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কোম্পানিটি সংকুচিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কয়েকটি ব্র্যান্ড বন্ধ করেছে এবং ২০০টি দোকান বন্ধ করেছে।
ড. সানিয়াত ইসলাম আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন এন্টারপ্রাইজ এবং সাসটেইনেবল ইনোভেশন বিভাগের একজন সিনিয়র লেকচারার।
বড় কোম্পানিগুলোর ঋণ একত্রীকরণ প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ এবং এর কোনো ‘সহজ সমাধান’ নেই; তাছাড়া এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার আইনি ব্যবস্থাও বোঝা দরকার।ড. সানিয়াত ইসলাম, সিনিয়র লেকচারার, ফ্যাশন এন্টারপ্রাইজ এবং সাসটেইনেবল ইনোভেশন বিভাগ, আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়।
মোজাইকের ব্যবসায়িক মডেলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে, ই-কমার্সের এই যুগে ব্র্যান্ডটি অনলাইনে ততটা খুচরা ব্যবসায় মনোযোগ দেয় নি।
বাংলাদেশের কিছু গার্মেন্টস সরবরাহকারীর কাছে তাদের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার বিষয়ে তিনি বলেন,
"বড় কোম্পানিগুলোর ঋণ একত্রীকরণ প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ এবং এর কোনো ‘সহজ সমাধান’ নেই; তাছাড়া এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার আইনি ব্যবস্থাও বোঝা দরকার।"
FILE - A garment worker wearing a face mask works at a textile factory in Dhaka, Bangladesh, 03 August 2021. Credit: AAP/EPA/MONIRUL ALAM
"শিল্পটি দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে ক্রেতাদের কাছে পণ্য সরবরাহ করে আসছে। তবে সেই ধারাবাহিকতা রক্ষায় বর্তমান ‘অস্পষ্ট' রাজনৈতিক পরিস্থিতি কতদূর যাবে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।"
তিনি বলেন,
"এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো দেশের সরবরাহকারীদের অর্থ আটকে থাকা ভালো নয়, যা দেশের পোশাক শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।"
ড. ক্যারল ট্যান আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেক্সটাইলের একজন সিনিয়র লেকচারার এবং মাস্টার অব ফ্যাশন বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার।
ড. ট্যান বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক খুচরা বাজারে কেন মোজাইক ব্র্যান্ডগুলি সংগ্রাম করছে তার প্রধান কারণগুলি বর্ণনা করেছেন৷
আজকের সফল ব্র্যান্ডগুলো অত্যন্ত তৎপর, তারা পণ্যের টেকসইতা এবং কমিউনিটির সাথে যুক্ত থাকার ওপর গুরুত্ব দেয়। তারা গ্রাহকদের সাথে শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করে, ভোক্তাদের মূল্যবোধের সাথে নিজেদের সামঞ্জস্য করে এবং অতিরিক্ত উৎপাদন ও ডিসকাউন্ট এড়াতে উৎপাদন সীমিত করার মতো দায়িত্বশীল পদ্ধতি গ্রহণ করে।ড. ক্যারল ট্যান, সিনিয়র লেকচারার, স্কুল অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেক্সটাইল, আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে, অনলাইন এবং ফাস্ট-ফ্যাশন খুচরা বিক্রেতাদের উত্থান এবং পরিবর্তিত ভোক্তা পছন্দ প্রতিযোগিতা আরও তীব্র করেছে। মোজাইকের দ্রুত সম্প্রসারণ তাদের সম্পদ সীমিত করে ফেলেছিল এবং তারা প্রথাগত খুচরা বিক্রির মডেলের ওপর নির্ভরশীল ছিল, কিন্তু ই--কমার্স-চালিত বাজারে তাদের সেই মডেল ব্যর্থ হয়।
এছাড়া, আইনি চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে এসিসিসি দ্বারা ডেলিভারি ব্যর্থতার জন্য গৃহীত ব্যবস্থা, কোম্পানিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, বলেন তিনি।
ড. ট্যান জোর দিয়েছেন যে, “আজকের সফল ব্র্যান্ডগুলো অত্যন্ত তৎপর, তারা পণ্যের টেকসইতা এবং কমিউনিটির সাথে যুক্ত থাকার ওপর গুরুত্ব দেয়। তারা গ্রাহকদের সাথে শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করে, ভোক্তাদের মূল্যবোধের সাথে নিজেদের সামঞ্জস্য করে এবং অতিরিক্ত উৎপাদন ও ডিসকাউন্ট এড়াতে উৎপাদন সীমিত করার মতো দায়িত্বশীল পদ্ধতি গ্রহণ করে।”
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলা এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য এসবিএস সাউথ এশিয়ান চ্যানেলের অংশ।
এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুন প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় এসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে। এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন আর, এসবিএস বাংলার এবং ইউটিউবেও পাবেন।
ইউটিউবে সাবসক্রাইব করুন চ্যানেল। উপভোগ করুন দক্ষিণ এশীয় ১০টি ভাষায় নানা অনুষ্ঠান। আরও রয়েছে ইংরেজি ভাষায় ।