ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী এবং বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে ঘনজনবসতিপূর্ণ শহর।
এখানে প্রায় ২১ মিলিয়ন মানুষ বাস করেন এবং প্রতিদিনই নতুন নতুন বাসিন্দাদের আগমন ঘটছে। বিস্ময়করভাবে ঢাকার প্রায় ৮২ শতাংশ এলাকাই কংক্রিটে আকীর্ণ, পুরো শহরের মধ্যে মাত্র ৬ বর্গ কিলোমিটার জায়গা খালি আছে।
জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে প্রতি তিন জনের একজন বাংলাদেশী শিশু জলবায়ু সম্পর্কিত বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে আছে, দেশের স্কুলের ক্লাসরুমগুলোতে এর চেয়ে সুস্পষ্ট বার্তা আর কী হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্ট সদস্যদের একটি দল ঢাকার একটি স্কুল পরিদর্শন করেছে।
তাদের সাক্ষাতে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা স্পষ্ট করেই বললো।
স্কুলের শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত 'গ্রীন ক্লাব' দান থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে তাদের ক্লাসরুমের ছাদে গাছ লাগিয়ে 'অক্সিজেন ব্যাঙ্ক' গড়ে তুলেছে, যাতে নিঃসরণ কমানো যায় - এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রার প্রভাবকে মন্থর করা যায়।
দেশটির নেতাদের কাছে সকল শিক্ষার্থী একটি বার্তা দিয়েছে যে নিঃসরণ বাড়ছে, কমছে না।
যদি জলবায়ু বিজ্ঞানীরা সঠিক হয়ে থাকেন এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা আধা মিটার বাড়ে, তবে বাংলাদেশের মোট ভূমির ১২ ভাগ আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাবে, এতে প্রায় ১৫ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হবেন - যাদের অনেকেই অত্যন্ত দরিদ্র।
গত বছর বন্যায় ৬০ জন মারা গেছেন, এবং ৮০০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
তাদের অনেকেই এখন বস্তিতে বাস করছেন - তাদের অনেকেই বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার শংকায় আছেন।
এখানকার শিক্ষার্থীরা জানে তারা একা এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না - কিন্তু ক্রমেই বিস্তৃতি পাওয়া এই বৈশ্বিক আন্দোলনের অংশ হতে পেরে তারা গর্বিত।
তরুণ প্রজন্ম আজ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
Gates Foundation এর অর্থায়নে Australian Regional Leadership Initiative এর অধীনে এসবিএস সম্প্রতি বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছে।
প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।