আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পদক পেয়েছেন রোহিঙ্গা আইনজীবি রাজিয়া সুলতানা। গত বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে রাজিয়াসহ এ বছর এই পদক বিজয়ী ১০ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। বিশ্বশান্তি, মানবতা, ন্যায়বিচার, লিঙ্গসাম্য এবং নারীর ক্ষমতায়নে অসাধারণ ভূমিকা রাখার জন্য রাজিয়াকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
১৯৭৩ সালে মিয়ানমারের মংডুতে জন্মগ্রহণ করেন রাজিয়া সুলতানা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে অবশ্য তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। রোহিঙ্গাদের নিয়ে নিরলস কাজ করে এ পদক পেয়েছেন রাজিয়া।
রোহিঙ্গা আইনজীবী রাজিয়া সুলতানা তার জীবনের বেশিরভাগ সময় আইনজীবী, শিক্ষকতা এবং মানবাধিকারের জন্য কাজ করেছেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি সরাসরি রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করছেন। ২০১৬ সালে তিনি বাংলাদেশে অবস্থানরত শতাধিক রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নিয়ে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। তার লেখা ‘উইটনেস ট হরর’ এবং ‘রেপ বাই কমান্ড’ বই দুটিতে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর চালানো যৌন সহিংসতার চিত্র উঠে এসেছে। তিনি ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশন-এর সমন্বয়ক এবং রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের নারী শাখার পরিচালক।
রাজিয়া ছাড়াও এ বছর সাহসী নারী পদক পেয়েছেন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা নাও কোনিয়া পাও, জিবুতির পুলিশ কর্মকর্তা মৌমিনা হুসেইন দারার, মিশরের মানবাধিকার-কর্মী মামা ম্যাগি, জর্দানের সামরিক কর্মকর্তা কর্নেল খালিদা খালাফ হান্না আল-তাওয়াল, আয়ারল্যান্ডের নান সিস্টার ওরলা ট্রেসি, মন্টেনেগ্রোর সাংবাদিক অলিভেরা লাকিচ, পেরুর সরকারি কর্মকর্তা ফ্লোর দ্য মারিয়া ভেগা যাপাতা, শ্রী লঙ্কার নারী ও শিশু অধিকার-কর্মী মারিনি ডি লিভেরা এবং তাঞ্জানিয়ার নারী অধিকার-কর্মী আনা আলোয়স হেঙ্গা।