মিঃ আবু সাদেক এসবিএস বাংলায় আপনাকে স্বাগতম
- ধন্যবাদ
আপনি একটি কালিনারি আর্টস ইনস্টিটিউট পরিচালনা করছেন, আপনারা করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে কিভাবে কোর্সগুলো পরিচালনা করছেন?
- আমাদের কোর্সগুলো মূলত প্রাকটিক্যাল, তবে কিছু থিওরিটিক্যাল ক্লাসও আছে। যেমন ধরা যাক কমার্শিয়াল কুকারিতে সার্টিফিকেট থ্রী যারা করছে, তাদের ক্ষেত্রে এখানে আমরা থিওরিটিক্যাল ক্লাসগুলো জুম্ ভিডিও কনফারেন্সিং করে চালিয়ে নিচ্ছি, যখন প্রাকটিক্যাল কম্পোনেন্টগুলো চলে আসে তখন ডেফার করে সার্টিফিকেট ফোরের থিওরি ক্লাসগুলো করাচ্ছি, সেখানে আবার থিওরিক্যাল কম্পোনেন্ট বেশি। এই ক্ষেত্রে আমরা অনলাইনেই ক্লাস নিচ্ছি, শিক্ষার্থীরাও অনলাইনে এসাইনমেন্ট জমা দিচ্ছে। আর যদি প্রয়োজন পড়ে, তখন তারা ট্রেইনারের সাথে ওয়ান-টু-ওয়ান এপয়েন্টমেন্ট করে ক্যাম্পাসে এসে তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করছে, যদিও তা কিছুটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার।শিক্ষার্থীরা এতে কতটুকু সাবলীল, তারা কি কোন চ্যালেঞ্জ অনুভব করে?
Abu Sadek Source: Supplied
- হ্যাঁ, অনেক শিক্ষার্থীদের কাছে এই অনলাইন প্লাটফর্মটা একেবারেই নতুন। তাদের যদি কোন প্রশ্ন থাকে তারা অনলাইনেই করছে, তবে এতে অনেকেই সাবলীল নয়। আবার বাড়ি থেকে ক্লাস করতে গিয়ে দেখা যায় পারিপার্শ্বিক বিষয়গুলো তাদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটায়। মুখোমুখি ক্লাস করার যে সুবিধা সেগুলো তো অনলাইনে সম্ভব নয়। প্রাকটিক্যাল ক্লাসের বিষয়গুলো যখন তাদের দেখতে হবে, তখন অনলাইনে সেটা কিছুটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। অনেককে ক্যাম্পাসে আসার জন্য বললে তারা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে ভয় পাচ্ছে, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্য কোন উপায় নেই। আরেকটা বিষয় হচ্ছে কমার্শিয়াল কুকারি একটা ওয়ার্ক বেসড ট্রেনিং - এটা স্টুডেন্টদের রেস্টুরেন্টে গিয়ে হ্যান্ড্স - অন ট্রেনিং নিতে হয়, এক্ষেত্রে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে রেস্টুরেন্টগুলো আমাদের স্টুডেন্টদের নিতে চাচ্ছে না, এতে কোর্সগুলো ঠিক সময়ে শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে আমরা সবসময়েই ভাবছি যে পরিস্থিতি হয়তো ঠিক হয়ে আসবে, এই পরিস্থিতিতে তাদেরকে আমাদের ক্যালেন্ডারে কিছু পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। এটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থীরা আর্থিক সমস্যায় পড়েছে, অনেকের টিউশন ফী দিতে সমস্যা হচ্ছে বলে শোনা গেছে, সেক্ষেত্রে আপনারা কিভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন?
- ভিক্টোরিয়া সরকার ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের জন্য কিছু আর্থিক সহায়তা দিয়েছে, যেখানে আমাদের ইন্সটিটিউটটিও আছে, সেক্ষেত্রে তারা অনেকেই ১২০০ ডলার পর্যন্ত সহায়তা পেয়েছে। কিন্তু এটাই তো যথেষ্ট নয়, এক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে মাসিক ভিত্তিতে বেতন দেয়ার সুযোগ দিচ্ছি, ডিউ ডেট পার হয়ে গেলে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে না। তাছাড়া তাদের সাথে কথা বলে কিভাবে সহায়তা দেয়া যায় সে ব্যাপারেও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
সম্প্রতি সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিসা পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীদের সুযোগ করে দিচ্ছে, এ বিষয়ে আপনার কি মতামত?
- এটা খুব ভালো উদ্যোগ, যারা অফশোরে বা অস্ট্রেলিয়ার বাইরে আছে তারা অনলাইন ক্লাসগুলোতে যোগ দিতে পারছে, এই লেসনগুলো অনশোরের সমতুল্য ধরা হবে, তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকে কোন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলেও তারা কোর্স শেষেও অস্ট্রেলিয়ায় আসতে সক্ষম হবে, এটা এই ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটা ভালো দিক এবং প্রতিযোগিতামূলক।
করোনাভাইরাসের সংকটময় পরিস্থিতিতে শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদের জন্য কোন পরামর্শ আছে কি?
- কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোন কোন শিক্ষার্থী পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোর্স ডেফার করে অনলাইন ক্লাস করা থেকে বিরত থাকছে, তাদের জন্য আমার পরামর্শ তারা যাতে সময়মত কোর্স শেষ করার প্রতি মনোযোগী হয়, আর্থিক কোন সমস্যা হলে তারা শিক্ষাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। যারা পার্মানেন্ট ভিসা প্রত্যাশী তাদের এক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি কারণ যেকোন সময়ে স্কিল মাইগ্রেশন লিস্টে পরিবর্তন আসতে পারে, তাই তাদের কষ্ট করে হলেও কোর্স শেষ করে ফেলা উচিত।
ভবিষ্যতে আপনাদের এমন কোন পরিকল্পনা আছে কি যা এসবিএস শ্রোতাদের জানাতে পারেন?
- আমরা ভাবছি যে ভবিষ্যতে কিছু বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটা টীম করবো যেটি হবে স্টুডেন্ট সাপোর্ট টীম, এটা মূলত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যা বিষয়ে পরামর্শ, ক্যারিয়ার পাথওয়ে নিয়ে দিক নির্দেশনা ইত্যাদি বিষয় ফোকাস করতে গঠন করা হবে।
মিঃ আবু সাদেক, এসবিএস বাংলাকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
- ধন্যবাদ আপনাকেও।
আরো পড়ুন: