ভিক্টোরিয়ার হেলথ অথরিটি সোমবার ঘোষণা দেয় যে রাজ্যে ৭৫ জন নতুন রোগী করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে।
গত মার্চ থেকে প্যান্ডেমিক শুরু হওয়ার পর এটি রাজ্যে দৈনিক হিসেবে চতুর্থ সর্বাধিক শনাক্তের ঘটনা।
হেলথ মিনিস্টার জেনি মিকাকোস বলেন, 'এ পর্যন্ত রাজ্যে ২০৯৯ জন শনাক্ত হলো। "
"তবে আশার কথা সারা রাতে কোন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি, এই সংখ্যাটি এখনো ২০-এর মধ্যেই আছে। "
যারা আক্রান্ত তাদের ১ জন হোটেল কোয়ারেন্টাইনে, ১৪ জন পরিচিতদের দ্বারা, ৩৭ জন রুটিন টেস্টে, এবং ২৩ জনের বিষয় এখনো নিশ্চিত নয়।
গত ১৩ দিন ধরে রাজ্যে শনাক্তের সংখ্যা দু'অংকের ঘরে। এর মধ্যে গত শনিবার ৪১, এবং রোববার ৪৯ জন শনাক্ত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত।
ভালো হওয়ার আগে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে
ভিক্টোরিয়ার চিফ মেডিকেল অফিসার ব্রেট সুটোন নতুন শনাক্তের ঘটনাকে 'ভীষণ উদ্বেগের' বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, " আমার মনে হয় ভালো হওয়ার আগে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।"
মিঃ সুটোন উপদ্রুত এলাকাগুলো লকডাউন করে দেয়ার বিষয়টি উন্মুক্ত রেখেছেন।
"এটা একটা বিকল্প এবং যদি প্রয়োজন হয় আমরা তা গ্রহণ করতে পারি।"
"তবে লকডাউন সহজ কাজ নয়, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া, কিংবা মানুষকে ঘরে থাকলে হলে তা হবে খুবই চ্যালেঞ্জিং। "
'মহামারী শেষ হয়ে যায়নি'
এদিকে সরকারের চিফ নার্সিং অফিসার এলিসন ম্যাকমিলান বলেছেন, ভিক্টোরিয়ার নতুন করে প্রাদুর্ভাবের ঘটনা পুরো দেশকে তীক্ষ্ণভাবে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
তিনি সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, "এটা খুবই গভীর উদ্বেগের বিষয়, এবং আমাদের সবাইকে এটা মাথায় রাখতে হবে। আমরা আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলাম, এই মহামারী এখনো শেষ হয়ে যায়নি। "
'এটি সেকেন্ড ওয়েভ নয়'
এর আগে ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার মাইকেল কিড বলেছেন যে ভিক্টোরিয়ায় যে নতুন শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে তা 'খুব উদ্বেগজনক', কিন্তু কমনওয়েলথ সরকার মহামারী প্রতিরোধে সম্পূর্ণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "এটি সেকেন্ড ওয়েভ নয়, ভিক্টোরিয়াতে আমরা যা দেখছি সে বিষয়টি প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই সারা দেশের ক্ষেত্রে আমরা ভেবে রেখেছিলাম।"
এদিকে ভিক্টোরিয়া সরকার করোনা টেস্টিং নীতি আরো কঠোর করতে যাচ্ছে। যারাই বিদেশ থেকে আসবে তাদেরকে টেস্ট করা হবে এবং হোটেল কোয়ারেন্টাইন শেষ হবার আগে আবার পরীক্ষা করতে হবে।
ভিক্টোরিয়ার অন্তত আটটি এলাকা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে টেস্টিং ব্লিটজ' বা ব্যাপকহারে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা চলছে।
এদিকে এবিসি নিউজ জানিয়েছে, সাউথ অস্ট্রেলিয়া দীর্ঘদিন করোনা শনাক্ত শূন্য থাকার প্রায় এক মাস পর ভারত থেকে আসা তিন ব্যক্তির করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে একটি ছোট্ট শিশুও রয়েছে।
জন হপকিন্স করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে, সারা বিশ্বে কোরোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ মিলিয়ন পেরিয়েছে এবং এতে মৃতের সংখ্যা অর্ধ মিলিয়নেরও ওপরে।
আরো পড়ুন: