রংধনু অজ-বাংলা কালচারাল সোসাইটি ইনক-এর বার্ষিক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এর সাংস্কৃতিক সম্পাদক তামান্না রহমান।
শুরুতেই ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এরপর স্থানীয় মিশু-কিশোরদের দলীয় অংশগ্রহণে মনোমুগ্ধকর গান ও নাচ।একক গান পরিবেশন করে নাবিলা ও একক নৃত্যে দর্শকদের বিমোহিত করে অপ্সরা। আর দেশাত্মবোধক, আধুনিক ও পাহাড়ী গানে দলীয় নৃত্যের তালে সুর ও ঝংকারে মঞ্চ মাতিয়ে তোলে কুমকুম, আদ্রিতা, এঞ্জেলা, আফসারা, আফরা, মার্সিয়া, আদ্রিনা, জারাহ, আয়শা, শার্লি, প্রিসিলা, ইশিকা, তালহা, ফারহানসহ আরও অনেকে।
Source: Supplied
এরপর নৈশভোজের বিরতির পর শুরু হয় দ্বিতীয় পর্ব। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি এমএ ওয়াহাব মিয়া এবং মো. আব্দুল মোতালিব। বিশেষ বক্তব্য রাখেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের লাকেম্বা থেকে নির্বাচিত লেবার পার্টির এমপি জিহাদ ডিব। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক লিংকন শফিকউল্লাহ।এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের ওয়েন্টওর্থভিল ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সুমন সাহা, ক্যান্টারবেরি-ব্যাংকসটাউন এলাকার লেবার পার্টির কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাজমুল হুদা এবং লিবারাল পার্টির কাউন্সিলর শাহে জামান টিটু। আরও বক্তব্য রাখেন ক্যাম্পবেলটাউন কাউন্সিলের কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী এবং এমএলসি মুভমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপার্সন নির্মল পাল।
Source: Supplied
এরপর শুরু হয় মেধা-তালিকা অনুসারে অসামান্য ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ।
ইয়ার থ্রি ন্যাপলান টেস্ট-এ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আট জনের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন কাউন্সিলর সুমন সাহা। এরা হচ্ছে:
ফারিজা হোসাইন, তালহা ইবনে শাহরিয়ার, অরুনিমা কবির জয়িতা, আরিব শাহরিয়ার, মরিয়ম আহমেদ, জয়নাহ ফাতিমা, এমডি জায়েদ ইবনে আলম, জারিফ খান, আমরিন হোসেন।
ইয়ার ফাইভ ন্যাপলান টেস্ট-এ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চার জনকে পুরস্কার বিতরণ করেন কাউন্সিলর নাজমুল হুদা। এরা হচ্ছে:
সাদাত শাখাওয়াত দীপ্র, ফারহান ইউসুফ, আয়ান হক এবং রাইফ খান।ইয়ার সেভেন ন্যাপলান টেস্ট-এ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পাঁচ জনকে পুরস্কার প্রদান করেন কাউন্সিলর শাহে জামান টিটু। এরা হচ্ছে:
Mr Jihad DIB, Member for Lakemba NSW. Source: Supplied
সানিহা বিনতে আসাদ, নুশাইবা আঞ্জুম, তাহমিদ ওয়াসিম, রুবাইয়েত শিকদার এবং হামদান আহমেদ।
ইয়ার নাইন ন্যাপলান টেস্ট-এ কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য চার জন মনোনীত হয়। এরা হলো:
ইলহাম হক, ফারহান শফিক, আরিয়ান জামান এবং আরফি হক।
ওসি টেস্ট-এ কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ছয় জন শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এরা হলো:
আলিফ হোসাইন সিদ্দিকী, জারিফ ফাইয়াজ উদ্দিন, মাহির দাইয়ান, সাহিব আলম, মালিহা তাসনিম এবং হাসনাইন আবিজ।
এদের সবার হাতে পুরস্কার তুলে দেন কাউন্সিলর মাসুদ চৌধুরী।
সিলেক্টিভ টেস্টে চমৎকার ফলাফলের জন্য ১৬ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এরা হলো:
সামিদ হাসান, ইউসা রহমান কবির, আলিনা কাজী, নির্ভানা তালুকদার, সামিয়া ইসলাম, সামরিন সৈয়দ, সুমাইয়া সুলতানা, অনুরঙ হৃদ কবির, রাফসান রাইয়ান, শাফি আহমেদ, তানিশা জামান, জিয়ান জোহর, আদ্রিতা রহমান, মির জাহিন হাসান, রাদ শাহমত হোসেন এবং সুহাস কবির।
এইচএসসি-তে মেধা-স্থান অর্জনকারীদের মধ্যে আমির মোহাম্মদ মোস্তাফী অন্যতম। সিলেক্টিভ ও এইচএসসি-তে কৃতিত্বপূর্ণ এ ফলাফলের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করেন এমপি জিহাদ ডিব।এছাড়াও অন্যান্য প্রশংসনীয় কাজে সাফল্য অর্জনকারীদের মধ্যে সম্মাননা স্বরূপ ক্রেস্ট প্রদান করা হয় । তারা হচ্ছেন—রোবোটিক্সে নাবিলা স্রোতস্বিনী, ব্যাডমিন্টনে যৌথভাবে নার্গিস বানু ও নাবিলা বানু। আর্টে পুরস্কার গ্রহণ করেন আয়াস আহসান, নাচে নেফিউ আহসান এবং গণিত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হিসেবে ইলমা খান পুরস্কার পান।
Source: Supplied
মারসুর আহসান বই লিখে সম্মাননা অর্জন করেন। হায়াত মাহমুদ সম্মাননা গ্রহণ করেন কবিতা লিখে। এহসান রেজাকে নজরুল সঙ্গীতের উপর সম্মাননা দেওয়া হয়। লাবিব মাহমুদ'কে ক্রিকেট, আদিল শরিফ ও একেএম আবু শহিদকে ব্যাডমিন্টনে পুরস্কৃত করা হয়।
বাংলা ভাষাকে গুরুত্বারোপ করে কমিউনিটিতে বিশেষ অবদানের জন্য নির্মল পালকে সম্মানিত করা হয়। এ বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৬০ টি পুরস্কার প্রদান করা হয়।