গতকাল মঙ্গলবার প্রাক-নির্বাচনী বাজেট পেশ করেছে কোয়ালিশন সরকার। ২০১৯-২০ অর্থ-বছরের এই বাজেটে ৭.১ বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত দেখানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে আগামী মে মাসের মধ্যেই ফেডারাল নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাই ট্রেজারার জোশ ফ্রাইডেনবার্গ ট্যাক্স-কাটের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই বাজেট সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মিস্টার ফ্রাইডেনবার্গ।
A guard is seen at the entry door during a tour of the North West Point Detention Centre on Christmas Island. Source: AAP
শরণার্থী
সরকার বলছে, আগামী ১ জুলাই থেকে ক্রিসমাস আইল্যান্ড ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টার বন্ধ করা হবে। সেখানকার আটক ব্যক্তিদেরকে, যাদেরকে সরকার “ইল্লিগ্যাল মেরিটাইম অ্যারাইভালস” বলছে, তাদেরকে নাউরু এবং পাপুয়া নিউ গিনিতে ফেরত পাঠানো হবে।
এভাবে, সরকার বলছে, খরচ কমিয়ে আনা যাবে। ২০১৮-১৯ অর্থ-বছরে এক্ষেত্রে খরচ হয়েছে ১৫০.৪ মিলিয়ন ডলার। আর, ২০১৯-২০ অর্থ-বছরের বাজেটে খরচ কমিয়ে ২৩.৭ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছে।
শরণার্থীদের পেছনেও খরচ কমানোর কথা বলছে সরকার। নবাগত শরণার্থীদের জন্য এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসিং অ্যারেঞ্জমেন্ট-এর পরিবর্তন করার মাধ্যমে সরকার প্রায় ৭৮ মিলিয়ন (৭৭.৯) ডলার খরচ কমাবে।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় নবাগত শরণার্থীরা অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের পর প্রথম ছয় মাস ইনকাম সাপোর্ট পান। এর পর তাদেরকে তথাকথিত “জব অ্যাকটিভ” সার্ভিসেস-এ প্রবেশ করতে হয়। এই নিয়ম সংশোধন করে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের পর প্রথম ১২ মাস পর্যন্ত ইনকাম সাপোর্ট প্রদানের কথা বলছে সরকার। তারা আশা করছে, এর ফলে নবাগত শরণার্থীরা অস্ট্রেলিয়ায় মানিয়ে নিতে এবং ভাষাগত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা পাবেন।
Prime Minister Scott Morrison hugs Treasurer Josh Frydenberg after handing down his first Federal Budget in the House of Representatives Source: AAP
ভিসা
আগামী পাঁচ বছরে দুটি নতুন রিজিওনাল ভিসা চালু করা হবে। এর জন্য খরচ হবে ৪৯.৬ মিলিয়ন ডলার। এগুলো হলো, স্কিলড ওয়ার্ক রিজিওনাল (প্রভিশনাল) ভিসা এবং স্কিলড এমপ্লয়ার স্পন্সরড রিজিওনাল (প্রভিশনাল) ভিসা।
বিদ্যমান রিজিওনাল স্পন্সরড মাইগ্রেশন স্কিম (সাবক্লাস ১৮৭) ভিসা এবং স্কিলড রিজিওনাল (প্রভিশনাল) ভিসা (সাবক্লাস ৪৮৯) এর স্থলে চালু হবে এই স্কিলড এমপ্লয়ার স্পন্সরড রিজিওনাল (প্রভিশনাল) ভিসা।
এই নতুন দুটি ভিসার মাধ্যমে দক্ষ অভিবাসীরা রিজিওনাল অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ বছরের জন্য বসবাস এবং কাজ করার অনুমতি পাবেন।
এ ছাড়া, ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে সরকার রিজিওনাল অস্ট্রেলিয়ার জন্য একটি পার্মানেন্ট রেসিডেন্স ভিসা চালু করার কথাও বলেছে।