প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, নিজের দেশের বহু ব্যক্তিত্বের অনুপ্রেরণা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সাধারণ মানুষের কাছে শৃঙ্খলা ও মর্যাদার প্রতীক ছিলেন তিনি।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দিন সিংহাসনে থাকার রেকর্ড গড়েছিলেন। প্রত্যেকের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করতেন। তাঁর প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গভীরভাবে শোকাহত। পরিবারের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। এরপরই রানির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ব্রিটেন সফরে রানির সঙ্গে মূল্যবান মুহূর্তের ছবিও পোস্ট করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে রানির সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিল। তাঁর আতিথেয়তা সত্যিই ভোলার নয়। সেই সাক্ষাতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ একটি রুমাল দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। বলেছিলেন, তাঁর বিয়েতে সেই রুমালটি তাঁকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। সেই স্মৃতি চিরকাল মনে থাকবে।
অন্যদিকে, শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি লিখেছেন, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রয়াণে ব্রিটিশ রাজপরিবার এবং ব্রিটেনের মানুষের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি দিন সিংহাসনে থাকা ব্রিটিশ রানির প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে একটা যুগের অবসান হল।
এদিকে, ব্রিটেনের পরবর্তী রাজা হচ্ছেন চার্লস। এ বার প্রশ্ন, কোহিনূরের অধিকার পাবেন কে? যা নিয়ে এখন ভারতজুড়ে জোর চর্চা হচ্ছে। চলতি বছরের শুরুতেই রানি এলিজাবেথ ঘোষণা করেছিলেন, তাঁর অবর্তমানে কুইন কনসর্ট হবেন যুবরাজ চার্লসের স্ত্রী, ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামিলা। স্বাভাবিকভাবেই চার্লস যখন রাজা হবেন, তখনই ক্যামিলার মাথায় উঠবে সেই কোহিনূর বসানো মুকুট, যা আসলে ছিল রানি এলিজাবেথের মায়ের।
উল্লেখ্য, ১০৫.৬ ক্যারাটের কোহিনূর হিরের জন্মস্থান, ভারত। চতুর্দশ শতাব্দীতে ভারতেই মিলেছিল এই হিরে। ১৮৪৯ সালে পঞ্জাব অধিকার করে ব্রিটিশরা। তখনই কোহিনূর হস্তান্তরিত হয় রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে। সেই থেকে ব্রিটেনের শাসকদের মাথায় শোভা পেতে থাকে এই হিরে।
এখন প্লাটিনামের মুকুটে বসানো রয়েছে এই কোহিনূর হিরে। ১৯৩৭ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জের অভিষেকের সময় তৈরি করা হয়েছিল সেই মুকুট। পরেছিলেন দ্বিতীয় এলিজাবেথের মা প্রথম এলিজাবেথ। টাওয়ার অব লন্ডনে রাখা থাকে সেই মুকুট। চার্লসের অভিষেকের দিন তা মাথায় উঠবে ডাচেস অব কর্নওয়াল, ক্যামিলার।