ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশী টাইগাররা। ৩২২ রান তাড়া করতে গিয়ে ৫১ বল হাতে রেখেই কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। এবারের বিশ্বকাপে উপর্যপুরি দুটি সেঞ্চুরি করে রান সংগ্রহের তালিকায় আবারও শীর্ষ স্থান দখল করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সোমবার ইংল্যান্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ড টন্টনে টসে জিতে বোলিং নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। শাই হোপের ৯৬ ও এভিন লুইসের ৭০ রানে ভর করে ৩২১ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস আরও বড় হতে পারতো। ৩৯ ওভারে ২৪০ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে তখন সাড়ে তিনশ রানও অসম্ভব মনে হচ্ছিল না। কিন্তু, তখন বোলিংয়ে এলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তাকে বোলিংয়ে এনে ভুল করেন নি অধিনায়ক মাশরাফি- আস্তে আস্তে বিপদজনক হয়ে ওঠা শিমরন হেটমায়ারের উইকেট নিয়ে সেটাই প্রমাণ করলেন মুস্তাফিজ।
জবাবে বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার ৮ ওভারেই অর্ধশত রান করে ফেলেন। ২৩ বলে ২৯ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে স্লিপে ক্রিস গেইলকে ক্যাচ দেন তিনি।
৫২ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতনের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। তামিম-সাকিবের ৬৯ রানের জুটি দারুনভাবে এগিয়ে নিচ্ছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু, ব্যক্তিগত ৪৮ রানের মাথায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার হন তামিম ইকবাল। সোজা শট খেলে ফলো থ্রুতে একটু এগিয়ে এসেছিলেন তিনি। সেই বল ধরেই চোখের পলকে স্ট্যাম্পে ছুড়ে মারেন বোলার কটরেল। দ্রুত শুয়ে পড়েও রক্ষা হয় নি তার।
এরপর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু মাত্র ১ রান করে থমাসের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১৩৩। এরপর বাংলাদেশের পক্ষে ইতিহাস গড়েন বিশ্বকাপে নবাগত লিটন দাস ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সাকিবের উপর্যপুরি সেঞ্চুরি, বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে লিটনের অপরাজিত ৯৪ বাংলাদেশকে পৌঁছে দেয় কাঙ্ক্ষিত জয়ের পথে। বোলিংয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট এবং অপরাজিত ১২৪ রান করে ম্যান অফ দি ম্যাচ বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।